চিন্তাভাবনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। বুথ-ফেরত সমীক্ষায় কেন্দ্রে বিজেপির সরকার গড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতে নিজের উত্তরসূরি বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় গতি আনলেন।
আজ সন্ধ্যায় গাঁধীনগরে মোদী গুজরাতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পর দলের মুখপাত্র বিজয় রূপানি বলেন, মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে যিনিই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তিনি অবশ্যই বিধায়ক হবেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, গুজরাতের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মোদীর ঘনিষ্ঠ নেত্রী আনন্দীবেন পটেল এগিয়ে রয়েছেন। অন্য দুই বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী সৌরভ পটেল, নিতিন পটেলের নামও দৌড়ে ছিল। কালো ঘোড়া হিসাবে গুজরাতের সংগঠন সচিব বিখুভাই ডালসানিয়ার নামও উঠে এসেছিল। নাম ছিল মোদীর ঘনিষ্ঠ অমিত শাহেরও। কিন্তু ভোটের পর বডোদরা আসনটি মোদী ছেড়ে দিলে অমিত শাহ সেই কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন। এই অবস্থায় এক জন বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে এখনও পর্যন্ত আনন্দীবেনই প্রথম পছন্দ।
আগামিকালই রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি ও নিতিন গডকড়ী গাঁধীনগর যাচ্ছেন মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে। ১৬ তারিখে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই তাঁদের এই সফর। এর মধ্যেই মোদী গুজরাতে তাঁর উত্তরসূরি বাছাইয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করে রাখতে চান।
এখনও পর্যন্ত সব বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই কেন্দ্রে মোদী সরকার হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এই অবস্থায় যাতে কেন্দ্রে সরকার গড়ার আগেই গুজরাতে নতুন সরকার গঠন করা যায়, তার তোড়জোড় শুরু করে দিলেন মোদী।
বিজেপি সূত্রের মতে, লোকসভা ভোটে বিজেপির পক্ষে যদি আসন বুথ-ফেরত সমীক্ষার মতোই আসে, তা হলে পর দিনই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ইস্তফা দেবেন মোদী। ২০ মে-র মধ্যে যাতে সেখানে নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিতে পারেন, তা-ও সুনিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি।
এরই মধ্যে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক ডেকেও এই বিষয়টি অনুমোদন করতে হবে।
মোদী শিবিরের মতে, মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারদের মধ্যে মোদীর সব চেয়ে ঘনিষ্ঠ হলেন আনন্দীবেন পটেল। রাজ্যের রাজস্ব, ভূমি সংস্কার, সড়ক, শহর উন্নয়ন ও পরিকাঠামো বিস্তারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মোদী তাঁর হাতেই দিয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি আমদাবাদ শহর ও জেলার গোটা দায়িত্বও তাঁর অধীনে। সম্প্রতি বডোদরায় মোদী যখন মনোনয়ন পেশ করতে গিয়েছিলেন, সেই সময়ও আনন্দীবেন তাঁর পাশে ছিলেন।
বিজেপি সূত্রের মতে, গুজরাতে মোদী এমন এক জনকেই মুখ্যমন্ত্রী করবেন, যাঁর প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হলেও যাতে তিনি বকলমে গুজরাতটিও চালাতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy