গত শনিবারই একটি পুরনো গোলমালের ঘটনায় ধানবাদ থেকে এ রাজ্যের তৃণমূল আহ্বায়ক দিলীপ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। আজ লোহারডাগা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী চামড়া লিণ্ডার বিরুদ্ধে ‘অফিস অব প্রফিট’-এর অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
রাজ্যে আপাতত আটটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে রয়েছে লোহারডাগা, রাঁচি, ধানবাদ, কোডারমা, গোড্ডা, গিরিডি, চাতরা ও পলামু। তবে লোহারডাগা কেন্দ্রের মধ্যে বিষুণপুর ও মাণ্ডার এই দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। দু’টিতেই তৃণমূলের ‘বিধায়ক’ রয়েছেন। বিষুণপুরের বিধায়ক চামড়া লিণ্ডা আর মাণ্ডারের বিধায়ক বন্ধু তিরকি।
চামড়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তেনুঘাট বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেডের (টিবিএনএল) চেয়ারম্যান। তাতেই লোহারডাগা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রামেশ্বর ওঁরাও তাঁর বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসার বীণা শ্রীবাস্তবের কাছে অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার দু’পক্ষের আইনজীবীকে ডেকে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
চামড়ার বিরুদ্ধে লাভজনক পদের অভিযোগ দায়েরের খবরে তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। ডেরেক বলেন, “একটা বহু পুরনো ঘটনায় আমাদের এ রাজ্যের আহ্বায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার আমাদের সব চেয়ে সম্ভাবনাময় আসনটির ক্ষতি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। কিন্তু খেলা শুরুর আগেই পিচ ট্যাম্পারিং করা হচ্ছে। আমরা চাইলে এখনই এ রাজ্যের সরকার ফেলে দিতে পারি। কিন্তু তেমন কিছু ভাবছি না। কিন্তু এ ভাবে চললে আমাদের অন্য কথা ভাবতে হবে।” উল্লেখ্য, তৃণমূলের দুই বিধায়কের সমর্থন না থাকলে রাজ্য সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy