ভোটের পরে দলীয় বৈঠক। দিল্লি বিজেপির সভাপতি সতীশ উপাধ্যায় ও অন্য নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিরণ বেদী। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
দল জিতলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, দিল্লি ভোটে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই। সে ক্ষেত্রে কিরণ বেদীকে বসতে হতে পারে বিরোধী দলনেত্রীর পদে। কিন্তু তাতে রাজি নন এই প্রাক্তন আমলা। বরং ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে বাক্স-প্যাঁটরা গুটিয়ে চলে যাবেন অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ডে। মন দেবেন অধ্যাপনায়।
কিন্তু এমন কেন? এর পিছনে অনেকটাই দায়ী বিজেপির দলীয় কোন্দল। এ নিয়ে ঘনিষ্ঠদের কাছে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কিরণ। প্রথমত, যে ভাবে একেবারে শেষ বেলায় তাঁকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল, তার পর কিরণের জন্য নির্বাচনী লড়াইটা এমনিতেই কঠিন হয়ে পড়ে। তার উপর এই ঘোষণা শুনে কার্যত বাড়িতে বসে যান হর্ষবর্ধন, সতীশ উপাধ্যায়, বিজয় গয়ালের মতো দিল্লির বিজেপি নেতারা। তাতে আরও ধাক্কা খায় নির্বাচনী প্রচার। পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামতে হয় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে। কিন্তু তাতে যে শেষরক্ষা না-ও হতে পারে, সে সম্ভাবনাই প্রবল। যা আগাম আন্দাজ করে কিরণ জানিয়েছেন, দলের হারের দায় তাঁর। কিন্তু এত কিছুর পর বিরোধী দলনেত্রীর ভূমিকা পালন করাও যে সহজ হবে না, তা বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন কিরণ। ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন, পূর্ব দিল্লির কৃষ্ণনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁর জয় প্রায় নিশ্চিত হলেও দল যদি না জেতে, সে ক্ষেত্রে রাজনীতির পাঠ চুকিয়ে অধ্যাপনার দিকে মন দেবেন তিনি।
তবে আগামী মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত ভিত্তিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জারি রেখেছেন। আজ প্রধান প্রতিপক্ষ কেজরীবাল যখন দলের নেতাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যান, তখন বেদী ব্যস্ত ছিলেন ভোটের পর দলীয় বৈঠক নিয়ে। তাঁর সঙ্গে আজ বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে। দলের একাংশ চাইছে, বুথ ফেরৎ সমীক্ষার ফল মেনে বিজেপি যদি দিল্লিতে প্রধান বিরোধী দল হয় তা হলে অরবিন্দ কেজরীবালকে টক্কর দেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত জবাব দিতে পারেন কিরণ বেদীই।
তাই বিজেপির একাংশ এখন থেকেই কিরণকে বোঝানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। কিন্তু যে ভাবে নির্বাচনে দিল্লি বিজেপির নেতারা অন্তর্ঘাতে লিপ্ত ছিলেন তাতে ঘনিষ্ঠ মহলে নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি তিনি। তাই বোঝানোর ফল কী হয়, তা অবশ্য বোঝা যাবে আগামী মঙ্গলবারের পর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy