পাঠ্যক্রমের মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে ইউজিসি-কে একাধিক নতুন প্রস্তাব দিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলি। তবে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রস্তাবগুলি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ইউজিসি। ফলে স্নাতক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া আজও শুরু হয়নি।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ৬৪টির মধ্যে ৫৭টি কলেজ ইতিমধ্যেই ইউজিসির নতুন নির্দেশ মেনে তিন বছরের পাঠ্যক্রম চালু করতে রাজি হয়ে গিয়েছে। পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হচ্ছে ধরে নিয়েই আজ বৈঠকে বসেন বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তিন বছরের পাঠ্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁরা যৌথ ভাবে ইউজিসি-কে প্রস্তাব দেন। তিন ও চার বছরের পাঠ্যক্রমের মধ্যে সংযোগরক্ষায় একটি ব্রিজ কোর্সের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বি-টেক ও গবেষণা সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলি নিয়েও নির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কিন্তু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীনেশ সিংহ এখনও নিজের অবস্থানে অনড়। কোনও চাপেই মাথা নোয়াননি তিনি। ফলে কলেজগুলির প্রস্তাব যদি ইউজিসি মেনেও নেয়, তাতে চূড়ান্ত সিলমোহর কে দেবেন, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বক্তব্য, প্রস্তাবগুলিতে কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। ফলে বেশ কিছু প্রস্তাব বাতিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নতুন করে প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে। কলেজগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কলেজগুলির বক্তব্য, পাঠ্যক্রমের জটিলতা না মেটা পর্যন্ত পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়াটা অর্থহীন।
মন্ত্রক মনে করছে, চার বছরের পাঠ্যক্রমকে তিন বছরে কী ভাবে পরিবর্তিত করা হবে সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা গত বছর দিল্লির সব কলেজে চার বছরের পাঠ্যক্রম চালু হয়ে গিয়েছিল। ফলে এখন তিন বছরের জন্য নতুন করে পাঠ্যক্রম সাজাতে হবে কলেজগুলিতে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে চার বছরের পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতেই কলেজগুলিতে আবেদন করে বসে রয়েছেন নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা। এখন নতুন করে পাঠ্যক্রম বদল হলে পুরনো আবেদনের কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “নতুন পাঠ্যক্রমে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা শাখার সিলেবাস ঢেলে সাজা হয়েছিল। এখন ফের তিন বছরে ফিরে গেলে কী ভাবে সিলেবাস করা হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে।”