ধসে চাপা পড়া দেহগুলি নিয়ে আসা হয়েছে করিমগঞ্জ জেলা হাসপাতালে। শনিবার। ছবি: উত্তম মুহুরী
প্রবল বর্ষণে টিলা ধসে প্রাণ হারালেন পাঁচ শিশু-সহ এক পরিবারের সাত জন। মা-বাবা, তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। গ্রামবাসীরা চার ঘণ্টা ধরে মাটি সরিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করেন। করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার কদমালা গ্রামে আজ ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
টিলার নীচে মাটির ঘর ছিল কৃষিজীবী নবাবউদ্দিনের (৪৫)। সকালে সব্জি নিয়ে বাজারে যাবেন বলে রাতেই এক গাড়িচালককে তিনি বলে রেখেছিলেন। ভোর পাঁচটায় গাড়ি নিয়ে এসে দূর থেকে ডাকাডাকি করছিলেন। কোনও সাড়া নেই দেখে পাশের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন নবাবের বাবা হায়দর আলি। ছেলের ঘরে দিকে দু’পা এগিয়েই হতবাক হয়ে যান তিনি। কোথায় ঘর, শুধুই মাটির স্তুপ। হায়দরের চিৎকারে সবাই বেরিয়ে আসেন। পাশে থাকা বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা ছুটে আসেন। অতিরিক্তি পুলিশ সুপার নবীন সিংহের নেতৃত্বে হাজির হয় পুলিশবাহিনীও। উদ্ধারে হাত লাগান সবাই। একে একে বেরিয়ে আসে নবাবের স্ত্রী পাতারুন্নেসা (৩২), তিন কন্যা--নাজিমা (১১), খালেদা (৭) ও নাজিদা (৫) এবং দুই পুত্র--- নাজিমউদ্দিন (৯) ও সাহারুদ্দিনের (২ বছর ৬ মাস) মৃতদেহ। কান্নায় ভেঙে পড়েন সত্তরোর্ধ্ব হায়দর আলি। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। কাল শেষ রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টি চলছে। এত জোরে বৃষ্টি হয়েছে যে কখন টিলা ভেঙে পুরো ঘর চাপা পড়ল তার কিছুই বুঝতে পারিনি।’’ ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি করিমগঞ্জ হাসপাতালে আনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy