Advertisement
E-Paper

ফের ধর্ষণ, অভিযুক্ত পুলিশ

ফের শিরোনামে বদায়ূঁ। কারণ সেই গণধর্ষণ। এ বার কাঠগড়ায় পুলিশ। ৩১ ডিসেম্বরের ঘটনা। অভিযোগ, ওই দিন রাতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বদায়ূঁর মুসাঝগ থানার মধ্যেই ধর্ষণ করে বীরপাল সিংহ যাদব ও অবনীশ যাদব নামে দুই কনস্টেবল। অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হওয়া ওই দুই কনস্টেবল অবশ্য পলাতক। তাদের ধরতে পুলিশের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩৫

ফের শিরোনামে বদায়ূঁ। কারণ সেই গণধর্ষণ। এ বার কাঠগড়ায় পুলিশ।

৩১ ডিসেম্বরের ঘটনা। অভিযোগ, ওই দিন রাতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বদায়ূঁর মুসাঝগ থানার মধ্যেই ধর্ষণ করে বীরপাল সিংহ যাদব ও অবনীশ যাদব নামে দুই কনস্টেবল। অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড হওয়া ওই দুই কনস্টেবল অবশ্য পলাতক। তাদের ধরতে পুলিশের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। অখিলেশের নির্দেশ পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে ও তদন্তের খবরাখবর নিতে তড়িঘড়ি বদায়ূঁ চলে যান পুলিশের ডিজি (অপরাধ দমন) এইচ সি অবস্তি।

কী হয়েছিল সে দিন? আক্রান্ত কিশোরীর কথায়, “প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাত ৮টা নাগাদ মাকে জানিয়ে বাড়ির বাইরে যাই আমি। হঠাৎই একটা গাড়ি দেখতে পাই। দু’জন কনস্টেবলকেও চোখে পড়ে। ওরা আমায় ডেকেছিল। কাছে যেতেই গাড়িতে তুলে নেয়।” গাড়ি এসে থামে থানার সামনে। এর পর থানারই একটা ঘরের মধ্যে আটকে রেখে চলে নির্যাতন। কিশোরী-ই জানিয়েছে সে কথা। নারকীয় অত্যাচারের পর গ্রামের রাস্তায় মেয়েটিকে ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্তরা।

ঘটনার কথা পরে মাকে জানায় কিশোরী। বাবা তখন গ্রামে ছিলেন না। পরের দিন মেয়েকে নিয়ে মা-ই চলে যান মুসাঝগ থানায়। কিন্তু অভিযোগ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। মহিলা অবশ্য দমে যাননি। পরের দিনই ছুটে যান শহরের এসপি লল্লন সিংহের কাছে। এফআইআর-এ জানান, ওই দুই কনস্টেবল তাঁর মেয়েকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। আর তার পর তাঁর মেয়ের শারীরিক অবস্থা যখন ক্রমশ খারাপ হতে থাকে, রাতের অন্ধকারে তাকে গ্রামের প্রান্তে ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্তরা।

কয়েক মাস আগে এই বদায়ূঁরই সদতগঞ্জে একটি গাছের ডাল থেকে ঝুলতে দেখা গিয়েছিল দুই তুতো বোনের দেহ। সে বারও গণধর্ষণেরই অভিযোগ উঠেছিল। যদিও পরে সে অভিযোগ খারিজ হয়ে যায়। তদন্তে প্রশ্ন ওঠে, ধর্ষণ না সম্মান রক্ষায় পরিবারই খুন করেছে মেয়ে দু’টিকে? কিন্তু শেষমেশ তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ঘোষণা করে, আত্মহত্যা করেছিল ওই দুই কিশোরী। এ বারে তদন্তে কী জানা যাবে, তা বলে দেবে সময়ই।

badaun uttarpradesh rape police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy