গ্রেটার নয়ডায় বিজেপি নেতা বিজয় পণ্ডিতের খুনে সিবিআই তদন্ত চাইল তাঁর পরিবার। এই ঘটনায় সমাজবাদীর পার্টির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজয়ের স্ত্রী গীতা ও ভাই লোকেশ। বদায়ূঁ গণধর্ষণের পরে এই ঘটনায় ফের উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত কাল সন্ধ্যায় গৌতম বুদ্ধ নগরের দাদরিতে ভাইয়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিজয়। তখনই চার অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আশপাশের জনতাকে ভয় দেখাতে শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালায় দুষ্কৃতীরা। তারা একটি মোটরসাইকেলও ফেলে যায়।
বিজয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে জড়ো হন বিজেপি সমর্থকরা। দাদরি থানার কাছে ১৬টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। চলন্ত বাস, গাড়িতে পাথর ছোড়া শুরু হয়। আক্রান্ত হয় পুলিশও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি ছোড়ে পুলিশ। যশোদা হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দাদরিতে প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্টেব্যুলারি ও র্যাফ-সহ অতিরিক্ত বাহিনী পাঠান জেলাশাসক এ ভি রাজামৌলি। জারি হয় ১৪৪ ধারা। আজ দাদরিতে বিজয়ের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বহু বিজেপি সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দা। আগামী কাল নয়ডা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই বিজয় খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁর স্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী গীতার দাবি, এই ঘটনার পিছনে রাজনীতি রয়েছে। লোকসভা ভোটে বিজেপি নেতা মহেশ শর্মার হয়ে প্রচার করেন বিজয় ও তিনি। তখনই সমাজবাদী নেতা নরেন্দ্র ভাটি ও তাঁর সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছিলেন। তাঁরা পুলিশকে জানালে বিজয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। গীতা ও বিজয়ের ভাই লোকেশের দাবি, এই ঘটনার জন্য নরেন্দ্র ভাটিই দায়ী। সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন। একই দাবি সাংসদ মহেশ শর্মাও। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাটি। চার জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের জন্য বেশ কয়েকটি দল গড়া হয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ টাস্ক ফোর্সকেও (এসটিএফ)। দোষীদের ছাড়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব।