মোদী-মন্ত্রে কাল থেকে দিল্লিতে প্রচার শুরু করছেন বিজেপির মুখ কিরণ বেদী। বিজেপি সূত্রে খবর, কিরণের প্রচারের কৌশল কী হবে, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাল থেকে উত্তর দিল্লিতে রোড-শো শুরু হচ্ছে কিরণের। প্রচারের সুবিধার জন্য গোটা দিল্লিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে বিজেপি দুর্বল, সেখানে বাড়তি জোর দেবেন কিরণ। রাজ্যের ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি প্রচার করবেন। দিনে গড়পড়তা ৫-৭টি সভায় হাজিরা দেবেন এই প্রাক্তন আইপিএস। ঠিক যে ভাবে মোদী করতেন লোকসভা ভোটের আগে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও পাঁচটি জনসভা করবেন দিল্লিতে। তার আগে বুথ স্তরকে আরও মজবুত করতে অমিত শাহ বেনজির ভাবে বুথ স্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করলেন।
কিরণকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই প্রতিপক্ষের ফাঁদে পা না দেন। মোদী চান ইতিবাচক রাজনীতিই লক্ষ্য হোক কিরণের। এ ভাবেই লোকসভায় মোদী উন্নয়নের স্বপ্ন ফেরি করেছিলেন। তাই কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি যখন কিরণের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করছে, সেই সময় কিরণ সংযত থেকেই বলেছেন, “আমি কারও অভিযোগের জবাব দিতে চাই না। দিল্লি কী চায়, সেটাই আমার লক্ষ্য।” বিজেপি নেতৃত্ব জানান, শেষ বাজারে কিরণের মতো চমককে ময়দানে নামিয়ে বিরোধীদের অনেকটা বেকায়দায় ফেলে দেওয়া গিয়েছে।
আগামী সোমবার কেজরীবালের দ্বিচারিতা নিয়ে আসরে নামছে কংগ্রেস। আজ তা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ অজয় মাকেন। কিন্তু আচমকা ময়দানে কিরণ বেদী এসে যাওয়ায় তাঁর মোকাবিলা কী ভাবে করা হবে তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস। কংগ্রেস নেত্রী কিরণ ওয়ালিয়ার বক্তব্য, “কিরণ বেদী, কেজরীবাল দু’জনেই সুযোগসন্ধানী। দু’জনেই অণ্ণা আন্দোলনের সুযোগে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছেন।” অন্য দিকে কেজরীবাল তাঁর পুরনো সহযোগী কিরণ বেদীর মোকাবিলার কৌশল স্থির করে উঠতে পারেননি। কিরণ বেদী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব না দিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাই কেজরীবালের নেতিবাচক রাজনীতি ধোপে টিকবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।