Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিমানে উঠতে বাধা ‘গ্রিনপিস’-এর কর্মীকে

লন্ডনগামী বিমানে এক মহিলা পরিবেশকর্মীকে উঠতে দিলেন না দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা ‘গ্রিনপিস’-এ কর্মরত প্রিয়া পিল্লাই নামের ওই কর্মীর অভিযোগ, ব্রিটেনে যাওয়ার বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাঁর পাসপোর্টে ‘অফলোড’ স্ট্যাম্প দিয়ে দেন অভিবাসন আধিকারিকেরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশ ছাড়তে পারবে না এমন অপরাধীদের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে তাঁর নাম। অন্য যাত্রীদের সুরক্ষার খাতিরেই তাঁকে এই সফরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না ভারত সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৫
Share: Save:

লন্ডনগামী বিমানে এক মহিলা পরিবেশকর্মীকে উঠতে দিলেন না দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা ‘গ্রিনপিস’-এ কর্মরত প্রিয়া পিল্লাই নামের ওই কর্মীর অভিযোগ, ব্রিটেনে যাওয়ার বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাঁর পাসপোর্টে ‘অফলোড’ স্ট্যাম্প দিয়ে দেন অভিবাসন আধিকারিকেরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশ ছাড়তে পারবে না এমন অপরাধীদের তালিকায় নথিভুক্ত রয়েছে তাঁর নাম। অন্য যাত্রীদের সুরক্ষার খাতিরেই তাঁকে এই সফরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না ভারত সরকার।

মধ্যপ্রদেশের মহান এলাকায় একটি প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আন্দোলনে নেমেছে ‘গ্রিনপিস।’ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতের একাধিক পরিবেশ সংগঠন। তাদের অভিযোগ, এই প্রকল্পের জন্য কাটা পড়বে অন্তত পাঁচ লক্ষ গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৫৪টি গ্রাম। বিপন্ন হবে বিস্তীর্ণ এলাকার বাস্তুতন্ত্রও। ‘এসার এনার্জি’ নামে ব্রিটিশ এক সংস্থার তত্ত্বাবধানে ওই প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। ‘গ্রিনপিস’ বাধা দেওয়ায় সংস্থাটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দেয় ‘এসার এনার্জি’। চলতি সপ্তাহে সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ‘গ্রিনপিস’-এর প্রতিনিধি হিসেবে রবিবার রাতে নয়াদিল্লির বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল প্রিয়ার। বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক তল্লাশির সময়ে অভিবাসন কর্মীরা প্রিয়ার পাসপোর্টে ‘অফলোড’ স্ট্যাম্প দিয়ে দেন। প্রিয়ার বিরুদ্ধে অতীতে অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ না থাকলেও ‘অফলোড’ স্ট্যাম্প দেওয়া হয় তাঁর পাসপোর্টে।

ঘটনায় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করেছে আন্তর্জাতিক ওই পরিবেশ সংস্থা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠিও লিখেছেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। ঠিক কোন আইনের ভিত্তিতে এ ভাবে হেনস্থা করা হল ওই পরিবেশকর্মীকে তার জবাবও চাওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রিয়া বলেন, “আমি জানি না সরকার কেন ভাবছে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছি আমি।” প্রিয়ার অভিযোগ, এর আগেও ‘গ্রিনপিস’-এর কাজে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাধা দিয়েছে ভারত সরকার। বৈধ পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্রিটিশ শাখার এক কর্মীকে ভারতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় গত বছর। তখনই গোয়েন্দা সংস্থার এক রিপোর্টে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা-সহ ‘গ্রিনপিস’-এর নাম উঠে আসে দেশদ্রোহীদের তালিকায়। তার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘গ্রিনপিস।’ আগামী ২০ জানুয়ারি সেই মামলার পরবর্তী শুনানি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

green peace priya pillai
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE