Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ভুটানের প্রস্তাবিত খোলংচু বাঁধ নিয়ে আপত্তি অসমের

গত সপ্তাহেই ভারত-ভুটান যৌথ উদ্যোগে প্রস্তাবিত ৬০০ মেগাওয়াটের খোলাংচু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাকে ঘিরেই অসমের রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু হয়েছে। আসু, অগপ, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির প্রতিবাদে এ বার সামিল হলেন রাজ্যের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও। আজ গগৈ জানান, “প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আমরাও চাই। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তা আমরা হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “কোনও সমঝোতায় যাওয়ার আগে কেন্দ্রের উচিত অসমের সম্মতি নেওয়া।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৪ ০২:৫১
Share: Save:

গত সপ্তাহেই ভারত-ভুটান যৌথ উদ্যোগে প্রস্তাবিত ৬০০ মেগাওয়াটের খোলাংচু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাকে ঘিরেই অসমের রাজনীতি উত্তপ্ত হতে শুরু হয়েছে। আসু, অগপ, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির প্রতিবাদে এ বার সামিল হলেন রাজ্যের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও। আজ গগৈ জানান, “প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আমরাও চাই। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তা আমরা হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “কোনও সমঝোতায় যাওয়ার আগে কেন্দ্রের উচিত অসমের সম্মতি নেওয়া।”

খোলংচু প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আসু, অগপ, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির বক্তব্য, মাত্র ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ভুটানের কুরিশু বাঁধের জল ছাড়ার জেরেই নামনি অসমের ৫ জেলা ভেসে যায়। বহু হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হয়। সেখানে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রকল্পের বাঁধের প্রভাব আরও ভয়ানক হবে। আসু এই বাঁধ নিয়ে শ্বেতপত্র দাবি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা বৃহৎ বাঁধের বিপক্ষে নই। আমাদেরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু সেই বাঁধ যেন সব রকম পরীক্ষা ও সমীক্ষার পরে গড়া হয়। ওই বাঁধের ফলে নামনি অসমে কী প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে তা যাচাই করার পরেই ভারত সরকারের এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া উচিত। অসমের ক্ষতি হতে পারে, এমন কোনও প্রকল্প আমরা কোনও ভাবেই হতে দিতে পারি না।”

এরই পাশাপাশি, বাংলাদেশের তরফে ভিসার নিয়ম বদলের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা নাকচ করে দিয়েছেন গগৈ। তিনি বলেন, “কেন্দ্র সম্প্রতি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাব দিয়েছে ভারতে আসার জন্য সে দেশের ১৮ বছরের নীচে ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের ব্যক্তিদের ভিসা তুলে দেওয়া হোক। পাশাপাশি, তারা ‘মাল্টিপ্ল ভিসা’ চালু করার কথাও বলেছে। কিন্তু অনুপ্রবেশ জর্জর অসম বাংলদেশিদের নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে পারে না। ভিসার ব্যাপারে কোনও শিথিলতা আমরা মানতে রাজি নই।”

গগৈয়ের বক্তব্য, “বর্তমানে রাজ্যে থাকা বাংলাদেশিদের খুঁজে বের করতেই আমাদের নাজেহাল অবস্থা। এর উপরে বিনা ভিসায় বাংলাদেশিরা অসমে ঢুকতে থাকলে সমস্যা আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে আমাদের কড়া আপত্তির কথা আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

assam bhutan khongchu dam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE