Advertisement
২০ মে ২০২৪

সুযোগ পেলে সরকার গড়ব, দাবি চিদম্বরমের

ক’দিন আগেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, “তৃতীয় ফ্রন্টকে সমর্থনের প্রশ্নই নেই। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা কংগ্রেস অর্জন করতে পারবে।” আর আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম তাতে সংযোজন করে বললেন, “ভোটের পর সুযোগ তৈরি হলে কোনও অবস্থাতেই সরকার গঠনের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসবে না কংগ্রেস। বরং এ ব্যাপারে সব রকম বিকল্প খতিয়ে দেখবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৪ ০২:৫৯
Share: Save:

ক’দিন আগেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, “তৃতীয় ফ্রন্টকে সমর্থনের প্রশ্নই নেই। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা কংগ্রেস অর্জন করতে পারবে।” আর আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম তাতে সংযোজন করে বললেন, “ভোটের পর সুযোগ তৈরি হলে কোনও অবস্থাতেই সরকার গঠনের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসবে না কংগ্রেস। বরং এ ব্যাপারে সব রকম বিকল্প খতিয়ে দেখবে।”

রাহুলের সঙ্গে চিদম্বরমের মতের খুব বেশি ফারাক নেই। ভোটগ্রহণ চলাকলীন এই প্রত্যয় দেখানোটাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিদম্বরমের আজকের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, রাহুল যা-ই দাবি করুন না কেন, এ বারের ভোটের গোড়া থেকেই সাধারণ ধারণা হল, আগের থেকে অনেক আসন কমে যাবে কংগ্রেসের এবং আসন সংখ্যার বিচারে বিজেপির থেকে তারা অনেক পিছিয়ে থাকবে। পাশাপাশি, তৃতীয় ফ্রন্টকে সমর্থনের ব্যাপারে রাহুল ‘না’ বলে দেওয়ায় অনেকে এই ব্যাখ্যাও করছেন যে, কংগ্রেস সহ-সভাপতি হয়তো পাঁচ বছরের জন্য বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। এই অবস্থায় চিদম্বরম বার্তা দিতে চাইলেন যে, খেলা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা আগের থেকে যদি কমেও যায়, তা সত্ত্বেও সরকার গঠনের সব রকম চেষ্টা চালাবেন তাঁরা। কারণ তাঁদের অন্যতম লক্ষ্য হল, লড়াইটা একপেশে হওয়া আটকানো।

কংগ্রেস সদর দফতরে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় চিদম্বরম আরও বলেন, “১৯৮৯-র পরিস্থিতি এখন আর নেই। তখন ১৯৬টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সরকার গঠন করেননি রাজীব গাঁধী। কিন্তু এখন সরকার গঠনের মতো পরিস্থিতি থাকলে কংগ্রেস কোনও সুযোগই ছাড়বে না। কংগ্রেসের সামনে সব দরজা খোলা রয়েছে।”

চিদম্বরমের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় নেতা দু’বছর আগে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। সে বার সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট না করেই লড়েছিল কংগ্রেস। রাহুল ভোট প্রচারে বলছিলেন, কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে বিরোধী আসনে বসবে। কিন্তু রাহুল এই কথা বললেও মুলয়াম সিংহ ও তাঁর পুত্র অখিলেশ প্রচারে বারবার বলেছিলেন, ভোটের পর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ার বিকল্প খোলা রয়েছে। কংগ্রেস সে কথা খণ্ডন করলেও মুলায়ম-অখিলেশ থামেননি। বরং বারবার এই বার্তাই দিয়ে গিয়েছিলেন যে, তাঁরা সরকার গড়ার দৌড়ে রয়েছেন। সেই কৌশল শেষ পর্যন্ত কাজে লেগে যায়। কংগ্রেসের ওই নেতার মতে, এখন কংগ্রেস এই তাসটাই খেলতে চাইছে, যাতে ভোট শেষ হওয়ার আগেই কেউ তাদের খরচের খাতায় ফেলে না দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

p chidambaram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE