নাম দেখে নয়, দলের প্রতীকে ভোট দেওয়ার আর্জি নিয়ে হাজিপুরে ঘুরছেন লোকজনশক্তি পার্টি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান।
হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রামবিলাস পাসোয়ানের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে আর এক রামবিলাসের ‘আবির্ভাবে’ কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাসের। তা-ও শুধু রামবিলাস হলে হত।
কিন্তু এই নির্দল রামবিলাসের পদবিও যে পাসোয়ান!
হাজিপুরের পাকরি গ্রামের ৯৭ বছর বয়সী রামবিলাস ভকত আচমকা হাজির নির্বাচনী ময়দানে। এটা কি বিরোধীদের ছক? তা না হলে এই বয়সে নির্বাচনে লড়তে নামার আগে, আদালতের হলফনামা নিয়ে রামবিলাস ভকত, পাসোয়ান হতে যাবেন কেন?
নির্দল রামবিলাসের পুত্রবধূ কুসুম দেবীর কথায়, “আমার শ্বশুরের নির্বাচনে লড়াইয়ের ইচ্ছেই ছিল না। কয়েক জন জোর করে আদালতে তাঁর পদবি বদলে নির্বাচনে প্রার্থী করে দিয়েছেন।” তবে, তাঁরা কোন দলের তা নিয়ে কুসুম দেবী মুখ খোলেননি। তিনি বলেছেন, “আমরা লোকজনশক্তি পার্টির বিরোধী নই। কয়েক জন গ্রামবাসীর জন্য এ সব করতে হয়েছে।”
লোকজনশক্তি প্রধান রামবিলাসের কথায় “এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ করার আগে কোনও মন্তব্য করব না। গত নির্বাচনেও পাঁচ জন পাসোয়ানকে আমার বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছিল।”
একই পরিস্থিতি বাঁকাতেও। সিপিআইয়ের সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে সেখানে লড়াই বহুজন সমাজ পার্টির সঞ্জয় কুমারের। সেখানে সিপিআই লড়ছে জেডিইউয়ের সমর্থনে। বিভ্রান্তি কাটাতে নির্বাচন কমিশন দু’জনের নামের পাশে ১/২ বসিয়ে দিয়েছে।
নামের গেড়ো রয়েছে সমস্তিপুর কেন্দ্রেও। সেখানে লোকজনশক্তি পার্টির প্রার্থী রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই রামচন্দ্র পাসোয়ান। তাঁর বিরুদ্ধে সেখানে ভোট-ময়দানে নেমেছেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থী রামচন্দ্র। তবে তিনি অবশ্য পাসোয়ান নন। তাঁর পদবি রাম।
ভারতীয় গণতন্ত্রে ‘ডামি’ প্রার্থীর এই কৌশল নতুন কিছু নয়। এ বারের ভোটে ছত্তীসগঢ়ের মহাসমুন্দ আসনে চন্দুলাল সাউ নামে এক ডজন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। উল্লেখ্য, এই আসনে বিজেপি প্রার্থীর নামও চন্দুলাল সাউ। বিজেপি-র অভিযোগের আঙুল স্বাভাবিক ভাবেই উঠেছে কংগ্রেস প্রার্থী অজিত জোগীর বিরুদ্ধে। জোগী তা অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy