বড়োভূমিতে হত্যাকাণ্ডের পিছনে ‘বাইরের মদত’ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
কেন্দ্রের আশঙ্কা, ভোটের মধ্যে দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্যই অসমের কোকরাঝাড়, বাক্সা ও চিরাং জেলায় নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে। প্রাথমিক সন্দেহ, ওই হত্যাকাণ্ডে বড়ো জঙ্গি সংগঠন এনডিএফবি (সংবিজিৎ)-এর হাত আছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, কোকরাঝাড়-সংলগ্ন এলাকায় এনডিএফবি-র দলটি আগেও হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এ বারের ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সন্দেহের তির পাকিস্তানের দিকেই। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ‘আইএসআই’ বা তাদের মদতে চলা সংগঠনের হাত রয়েছে কি না, তা দেখতে চাইছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে কালই বলেছিলেন, “উত্তেজনা ছড়ানোর লক্ষ্যেই বড়োভূমিতে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” সেই সুরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “অসমে যে ভাবে বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে, তাতে দেশে সংঘর্ষ ছড়ানোর ছক থাকতে পারে। হতেই পারে পাকিস্তানি সংস্থার হাত আছে।”
এই সংঘর্ষের দায় নিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে দোষারোপ শুরু হয়েছে। কংগ্রেস এর জন্য বিজেপি-র মেরুকরণের রাজনীতিকে দায়ী করছে। কোকরাঝাড় তথা বড়োভূমির হত্যাকাণ্ডের ছবি দেখিয়ে দেশের স্পর্শকাতর এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে কি না, সে দিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। বড়োভূমিতে হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-কে দেওয়া হয়েছে।