Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

করোনা রুখতে শুধু লকডাউন যথেষ্ট নয়, দাবি হু-র

হু-র দাবি, লকডাউন করে হাতে কিছুটা সময় পাওয়া যায় বটে, কিন্তু মহামারি কাটিয়ে বেরিয়ে আসার জন্য তা যথেষ্ট নয়।

লকডাউনে জনশূন্য কলকাতা। ছবি: এএফপি।

লকডাউনে জনশূন্য কলকাতা। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
জেনেভা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০ ১৮:৫৫
Share: Save:

নোভেল করোনার মোকাবিলায় দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এতে করোনার প্রকোপ আদৌ রোখা যাবে তো? এ বার সেই প্রশ্ন উস্কে দিলেন খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। তাঁর দাবি, লকডাউন করে হাতে কিছুটা সময় পাওয়া যায় বটে, কিন্তু মহামারি কাটিয়ে বেরিয়ে আসার জন্য তা যথেষ্ট নয়।

নোভেল করোনার প্রকোপে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছুঁইছুঁই। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তে হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ২২ হাজারের বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার জেনেভায় সাংবাদিক বৈঠক করেন গেব্রিয়েসাস। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু দেশ লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতে করোনাকে ঠেকানো যাবে না। বরং এতে হাতে আরও খানিকটা সময় পাওয়া গিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এর সদ্ব্যবহার করতে হবে।’’

গেব্রিয়েসাসের কথায়, ‘‘মানুষকে গৃহবন্দি থাকতে বলে, জনজীবন স্তব্ধ করে দিয়ে আসলে সময় নেওয়া হচ্ছে, যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর থেকে চাপ কিছুটা হলেও কমানো যায়। কিন্তু এতে করোনাকে রোখা সম্ভব নয়। বরং করোনা বিনাশ করতে এই সময়টাকে কতটা কাজে লাগানো যায়, তা দেখতে হবে।’’

আরও পড়ুন: ভিন্‌রাজ্যে আটক বাঙালিদের জন্য সক্রিয় মমতা, চিঠি ১৮ মুখ্যমন্ত্রীকে​

আরও পড়ুন: কোথা থেকে সংক্রমিত হলেন নয়াবাদের বৃদ্ধ? এখনও ধন্দে স্বাস্থ্য দফতর​

পোলিয়ো এবং গুটি বসন্তের মতো মহামারী সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় করোনা মোকাবিলায় ভারত গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন হু-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল জে রায়ান। তাঁর দাবি উড়িয়ে দেননি গেব্রিয়াসও। বরং করোনা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা যে ভারতের রয়েছে তা মেনে নেন তিনিও। গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে ভারতের। কিন্তু সঠিক পথে এগোতে হবে। সঠিক প্রযুক্তি থাকতে হবে, যাতে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা যায়। ডাক্তারি পরীক্ষা করতেই হবে। চিকিৎসা এবং মানুষকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা আরও বাড়াতে হবে, যাতে চিহ্নিত সকলকেই পর্যবেক্ষণে রাখা যায়। এটা যদি ঠিকঠাক করা যায়, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানি, কিন্তু এই প্রক্রিয়ার গতি যদি বাড়ানো যায়, তা হলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।’’

ভারতে এখনও পর্যন্ত ৬৫০ জন নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন। সংক্রমণ রুখতে গত ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 WHO Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE