Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
ASAT

বায়ুমণ্ডলেই জ্বলে যাবে টুকরো, এ-স্যাট নিয়ে নাসার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিল পেন্টাগন

নাসা আশঙ্কা প্রকাশ করলেও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যনির্বাহী সচিব প্যাট্রিক শানাহান গত ২৮ মার্চই দাবি করেছিলেন, এ-স্যাট মিশনে তৈরি হওয়া টুকরোগুলোর কারণে কোনও রকম অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

এ-স্যাট উত্‌ক্ষেপণ। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

এ-স্যাট উত্‌ক্ষেপণ। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৩৮
Share: Save:

‘এ-স্যাট’ নিয়ে নাসার আশঙ্কাকে কিছুটা উড়িয়েই দিল পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রশাসন স্পষ্টই জানাল, যতটা আশঙ্কা নাসার, তাদের দৃঢ় বিশ্বাস তেমন কিছু ঘটবে না। বায়ুমণ্ডলেই ধ্বংস হয়ে যাবে মাইক্রোস্যাটের ধ্বংসাবশেষগুলি। এ-স্যাট নিয়ে একটি সমীক্ষার পর এমনটাই দাবি করল পেন্টাগন।

গত ২৭ মার্চ পৃথিবী থেকে ৩০০ কিলোমিটার উপরে নিজেদের ‘মাইক্রেস্যাট’কে উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘এ-স্যাট’ দিয়ে ধ্বংস করেছিল ভারত। ফলে মাইক্রোস্যাট-এর ৪০০-রও বেশি টুকরো কক্ষপথে ছড়িয়ে পড়ে। ‘এমিস্যাট’ উত্‌ক্ষেপণের আগে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। পরে অবশ্য নির্বিঘ্নেই উত্‌ক্ষেপণ হয় এমিস্যাট-এর।

নাসা প্রধান জিম ব্রিডেনস্টিন গত সোমবার বলেন, কক্ষপথে ঘুরছে, মাইক্রোস্যাটের এমন চারশোরও বেশি টুকরো তাঁরা চিহ্নিত করেছেন। যাদের গতিবেগ ওই মাইক্রোস্যাট-এর মতোই। সেগুলো কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় কোন দিকে ছুটবে বা কার গায়ে গিয়ে ধাক্কা মারবে এবং তার পরিণতিই বা কী হবে সে বিষয়ে কেউই জানেন না। তবে মাইক্রোস্যাট-এর এই টুকরোগুলোর কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের যে বড় ক্ষতি হতে তেমন আশঙ্কাই প্রকাশ করে নাসা। এবং এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ ঘটনা’ বলেও উল্লেখ করেন ব্রিডেনস্টিন।

নাসা আশঙ্কা প্রকাশ করলেও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যনির্বাহী সচিব প্যাট্রিক শানাহান গত ২৮ মার্চই দাবি করেছিলেন, এ-স্যাট মিশনে তৈরি হওয়া টুকরোগুলোর কারণে কোনও রকম অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ তিনি মনে করেন বায়ুমণ্ডলেই ওই টুকরোগুলো জ্বলে যাবে। তা হলে শানাহান যে দাবি করেছিলেন সেটাকেই কি সঠিক বলে ধরে নিচ্ছে পেন্টাগন? ‘অবশ্যই’, এমনটাই জানিয়েছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র চার্লি সামার্স।

আরও পড়ুন: ‘বিরোধী মানেই নন দেশদ্রোহী’, পাঁচ বছর পরে নিজের ব্লগে বিস্ফোরক আডবাণী

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভারতের মাইক্রোস্যাট-এর ধ্বংসাবশেষ নিয়ে যখন নাসা হইচই করছিল, সে সময়ই শানাহান দাবি করেছিলেন ২০০৭-এ চিনের এই একই ধরনের মিশনের কথা মাথায় রেখেই অনেক নিচের কক্ষপথে পরীক্ষাটা চালিয়েছে ভারত। ২০০৭-এ উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উত্‌ক্ষেপণ করেছিল চিন। পেন্টাগনের হিসেবেই, সেই ঘটনায় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি টুকরো কক্ষপথে ছড়িয়ে পড়ে। সেগুলো থেকেই গিয়েছে। নষ্ট হয়নি। শানাহানের দাবি, ভারতের এ-স্যাট মিশনে তেমনটার কোনও সম্ভাবনা নেই। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ স্তরের এক বিজ্ঞানীও এমনটাই দাবি করে জানিয়েছেন, ৪৫ দিনের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা টুকরোগুলো বায়ুমণ্ডলের আপার আয়োনোস্ফিয়ারে জ্বলে যাবে।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র গ্যারেট মার্কুইজ বলেন, “এ-স্যাট মিশনের ফলে তৈরি হওয়া টুকরোগুলোর গতিবিধির উপর আমরা কড়া নজর রেখেছি।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, এই ধরনের মিশনের জেরে যাতে কক্ষপথে ধ্বংসাবশেষের প্রভাব কম পড়ে সে ব্যাপারেও সমস্ত দেশের সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE