প্রতীকী চিত্র
সমুদ্রের তলা থেকে রাতারাতি গায়েব হয়ে গেল ৭৭০ কেজি ওজনের একটি বিশাল যন্ত্র। এই যন্ত্রটি সামুদ্রিক পরিবেশের পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করত। গত ২১ অগস্ট শেষবার যন্ত্রটি সিগন্যাল পাঠিয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও সাড়া শব্দ মিলছে না। কেউ কেউ দাবি করছেন, এলিয়ন বা ভিন গ্রহের প্রাণীরা নিয়ে গিয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটি।
জার্মান উপকূলে সমুদ্রতল সংক্রান্ত গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করতে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়।যন্ত্রটির দু’টি অংশ ‘জিওমার’ এবং ‘এইচজেডজি’। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে যন্ত্রটি স্থাপন করারার পর থেকে নিয়মিত তথ্য পাঠিয়ে যাচ্ছিল। জলের লবণক্ততা, মিথেনের ঘনত্ব, অক্সিজেন এবং কার্বন-ডাইঅক্সাইড সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহও চালিয়ে যাচ্ছিল।
যন্ত্রটি বসাতে খরচ হয়েছিল তিন লক্ষ ৩০ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দু’কোটি ৩৬ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। এই যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে ভাবে যন্ত্রটি বসানো হয়েছিল, তাতে বল প্রয়োগ না করলে সেটিকে তার জায়গা থেকে সরানো যেত না। তাই যন্ত্রটির নিখোঁজ হওয়া নিয়ে নানা মত উঠে আসছিল।
আরও পড়ুন : ওভার লোডিংয়ের জরিমানা ১ লক্ষ ৪১ হাজার!
এতবড় যন্ত্র সমুদ্রের তলা থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে যে কারণগুলি উঠে আসছে তারমধ্যে অন্যতম হল, কোনও বড় প্রাণীর ধাক্কায় যন্ত্রটি বিকল হয়ে যেতে পারে। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক কারণেও এই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। কারণ অনুসন্ধানের জন্য ডুবুরি নামিয়ে দেখা গিয়েছে, দু’টি কেবল ছাড়া আর কিছুই নেই। এই কেবলগুলি দিয়েই যন্ত্রগুলির সঙ্গে ভূমিতে থাকে মূল গবেষণাগারের যোগাযোগ রক্ষা হত। তার মধ্যে একটি পাওয়ার কেবল।
আরও পড়ুন : টুইটে খাবারের প্রশংসা, আজীবন ফ্রায়েড চিকেন স্যান্ডুইচ দিল রেস্তরাঁ!
এই তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ দাবি করেন, হয়তো মজা করেই বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র এলিয়েনরা নিয়ে গিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এলিয়েন বা ভিন দেশের কারও হাত নেই যন্ত্রটির বিকল হওয়ার পিছনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy