Advertisement
০২ এপ্রিল ২০২৩

হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু, আয়া গ্রেফতার

এক সদ্যোজাতের মৃত্যুতে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে চন্দননগর হাসপাতাল থেকে শুক্রবার এক আয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। ধৃত বাসন্তী দাস নামে ওই আয়া অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০০
Share: Save:

এক সদ্যোজাতের মৃত্যুতে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে চন্দননগর হাসপাতাল থেকে শুক্রবার এক আয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে শিশুটি মারা যায়। এ নিয়ে হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। ধৃত বাসন্তী দাস নামে ওই আয়া অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভদ্রেশ্বরের জগদ্বাত্রীতলার বাসিন্দা তনুশ্রী পাল গত ১ ডিসেম্বর প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে ওই রাতেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কয়েক দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে তাঁর ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার মাঝরাতে শিশুটির মৃত্যুর খবর জানতে পেরে শুক্রবার ভোরেই পরিবারের লোকজন এবং তাঁদের পড়শিরা হাসপাতালে জড়ো হন। আয়া ঠিকমতো দেখভাল করেননি, এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন আয়া বাসন্তীদেবী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীদের ভিড় থেকে বাসন্তীদেবীকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুর দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মৃত শিশুটির পরিবারের লোকজন এর পরে থানায় গিয়ে বাসন্তীদেবীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। তনুশ্রীদেবীর স্বামী বিশ্বনাথ পাল বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে ছেলেকে ভাল দেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভোরের আগেই মারা গেল! আয়া নজর দেননি। তাঁর কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই ওর মৃত্যু হয়েছে। আমরা চাই এর উপযুক্ত তদন্ত হোক। দোষী উপযুক্ত শাস্তি পাক।’’

পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটির দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তার মৃত্যু হল তা ময়না-তদন্তের রিপোর্টেই পরিষ্কার হবে। হাসপাতালের সুপার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিশুটির মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও কোনও দোষ-ত্রুটি ধরা পড়লে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, আয়ারা হাসপাতালের কর্মী নন। রোগীর পরিবারের লোকজনই তাঁদের নিয়োগ করেন।’’

Advertisement

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বাসন্তীদেবীর দাবি, “আমার কোনও দোষ নেই। বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটি মায়ের দুধ খেয়েছে। কিন্তু মাঝরাতে ছটফট করছে দেখে আমি নার্সকে ডাকি। তিনি এসে দেখে জানান শিশুটি মারা গিয়েছে। তখন আমি ওর বাড়ির লোককে জানাই। এতে আমার দোষ কোথায়?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.