কাজের চাপে হাঁসফাস অবস্থা! ভুলতে বসেছেন নিজের শখ-আহ্লাদ? জানেন কি সেটাই হতে পারে মস্ত ভুল? কী ভাবে ব্যস্ত জীবনেও নিজেকে সময় দেওয়া যায়, ভাল রাখা যায়, এক সাক্ষাৎকারে পরামর্শ দিলেন আমেরিকান সহবৎ প্রশিক্ষক টেলর এলিজ়াবেথ পেরামন্ড। তাঁর পরামর্শ, নিজেকে ভাল রাখলেই যে কোনও কাজে বাড়তে পারে গতিশীলতা।
১। কাজের চাপে মানসিক ক্লান্তি, কখনও উদ্বেগের শিকার হচ্ছেন অনেকে। এলিজাবেথের পরামর্শ বিরতির। লম্বা নয়, মাত্র ৩০ সেকেন্ডের। ব্যস্ত সময়ে নিজের জন্য আধ মিনিট সময় বার করা মোটেই কঠিন নয়। কাজের মধ্যেই তা সম্ভব। গাড়ি পার্ক করছেন কিংবা জরুরি বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন, একটু দাঁড়িয়ে লম্বা শ্বাস নিতে হবে, তার পর তা ছাড়তে হবে। এতে কিছুটা হলেও উদ্বেগ, চাপ কমতে পারে।
২। কাজের একটা পরিসীমা থাকা দরকার। নিজেকেই তা ঠিক করতে হবে। যদি কর্মক্ষেত্রে কাউকে না বলতে অসুবিধা হয়, তা হলে এমন ভাবে দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করা যেতে পারে, যাতে কাজের চাপ অতিরিক্ত না হয়ে যায়। কাজের সীমারেখা নির্দিষ্ট হলে দৈনন্দিন যাপনে ভারসাম্য থাকবে। মানসিক শান্তির জন্য যা খুব জরুরি।
৩। অনেকেই মনে করেন, প্রতিটি মুহূর্তই কাজে লাগানো দরকার। নিজের জন্য সময় বার করার চেয়ে সেটাই জরুরি। কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়া খুব কঠিন নয়। দিনরাত ফোনে কাজের জিনিস না খুঁজে, ই-মেল না দেখে কিছুটা সময় ফোন সরিয়ে রাখা যায়। কিছু ক্ষণ হেঁটে আসা যায়। তবে হাঁটতে হাঁটতে কাজ নয়। কিছুটা সময় সমস্ত কাজ সরিয়ে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যায়। নিজের প্রতি যত্ন কিন্তু স্বার্থপরতা নয়, বরং এর অর্থ নিজের প্রয়োজনীয়তাটা বোঝা।