চারপাশে বহুতল। ফ্ল্যাটের অবস্থান এমন জায়গায়, যেখানে খুব ভাল আলো-হাওয়া খেলে না। এমনকি বারান্দাতেও নয়। ভেবেছিলেন, ছোট্ট জায়গাতেই বাগান করবেন। কিন্তু এত কম সূর্যালোকে কী গাছ হবে, ভেবেই পিছিয়ে এসেছেন?
এ ব্যাপারে কিন্তু আপনার পথ প্রদর্শক হতে পারেন পুণের এক শখের উদ্যানপালক। একফালি বারান্দা। দিনে ঘণ্টা দু’য়েক বড়জোর রোদ পড়ে। সেখানেই ফুল এবং পাতাবাহার গাছের বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গৌতম দোশি। পেশায় তিনি ইঞ্জিনিয়ার। নেশা গাছপালার। তিনিই বলছেন, ‘‘কৌশল জানলে স্বল্প পরিসরে, স্বল্প সূর্যালোকে বাগান করা যায়।’’
কী সেই কৌশল?
প্রথমেই বেছে নিতে হবে এমন গাছগাছালি, যেগুলি চড়া রোদ ছাড়াও বেশ বেড়ে উঠতে পারে। তালিকায় রাখতে পারেন জবা, বেগোনিয়া, টেকোমা, ব্লিডিং হার্টের মতো ফুলের গাছ। পাতাবাহার চাইলে বেছে নিতে পারেন পোথোস, অ্যাগলোনেমা, ফিলোডেনড্রন, সিংগোনিয়ামের মতো গাছ।
আরও পড়ুন:
গৌতম জানাচ্ছেন, যে বারান্দায় রোদ কম আসে, সেখানে নিয়মিত গাছের টব ঘুরিয়ে দিতে হবে। যাতে গাছের প্রতিটি অংশ যথাসম্ভব সূর্যালোক পায়।
গাছ রাখতে হবে বারান্দার রেলিংয়ে। এতে রোদ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। টব হালকা হলে গাছ সরানো, রেলিংয়ে ঝোলানোর সুবিধা হবে।
মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে কোকোপিট। এতে টবের জলনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল থাকবে।
সমস্যা কোথায়?
তুলনামূলক কম সূর্যালোক প়ড়লে সেই জায়গা স্যাঁতসেতে হয়ে ওঠে। এমন পরিবেশে গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। শখের উদ্যানপালকের পরামর্শ, নিম তেল ব্যবহার করার। জলে মিশিয়ে দু’দিন অন্তর গাছে নিম তেল স্প্রে করলে পোকামাক়ড় ঠেকানো যাবে।
সহজ উপায়ে সঠিক পরিচর্যা করলে ছোট্ট জায়গাও ফুল এবং গাছে ভরে উঠবে।