রবিবার জামাইষষ্ঠী। অর্থাৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা পরিবারের সঙ্গে একটা নির্ভেজাল ছুটি কাটানোর সুযোগ। সেই সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে ভূরিভোজেরও। দুপুরে ইলিশ-চিংড়ি-মটন খেয়ে বিকেলে জলখাবার খাওয়ার ইচ্ছে না-ই হতে পারে। কিন্তু সন্ধ্যায় চায়ের আসরে আড্ডা দিতে বসলে মনে হতে পারে, মুখ চালানোর টুকটাক কিছু থাকলে ভাল হত। যা আর যাই হোক, পেট ভরাবে না। কিন্তু মন ভরাবে। আবার স্বাস্থ্যের ক্ষতিও করবে না। এমনই পাঁচ খাবার চটজলদি বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে বাড়িতেই। যা স্বাদের অভাব পূরণ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করবে না।
১। কাঁচা আমের পেঁয়াজি
ভ্যাপসা গরমে কাঁচা আমের মতো আরামদায়ক আর কী হতে পারে! আর এখানে বাঙালির প্রিয় বিকেলের জলখাবার পেঁয়াজির সঙ্গে মিশবে কাঁচা আম। পেঁয়াজ ঝিরিঝিরি করে কেটে তার সঙ্গে মেশাতে হবে সম পরিমাণে কাঁচা আম কোরানো। তার পরে নুন, সামান্য চিনি, লঙ্কাকুচি, বেসন এবং তেল মিশিয়ে নিলেই তৈরি ব্যাটার। চাইলে এই মিশ্রণে হিং মেশানো যেতে পারে। না দিলেও ক্ষতি নেই। এর পরে ছোট ছোট ভাগে তেলে ভেজে তুললেই তৈরি কাঁচা আমের পেঁয়াজি।
২। ঝালমুড়ি
ছুটির দিনে পারিবারিক উৎসব মানে বিকেলে জমিয়ে আড্ডা হবেই। আর বাঙালির যে কোনও আড্ডায় সঙ্গী হতে পারে মুড়ি। জামাইষষ্ঠীর দুপুরে ভারী খাবার খাওয়ার পরে যদি সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে ‘টা’ রাখতেই হয় তবে মুড়িমাখা বা ঝালমুড়ি হতে পারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
৩। বেগুনের চিপস
চিপস, আলুভাজা খেতে ভাল লাগে ঠিকই। কিন্তু তাতে কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের বীজ লুকিয়ে। চায়ের সঙ্গে খাওয়ার মুচমুচে খাবারকে স্বাস্থ্যকর বানাতে চাইলে তৈরি করতে পারেন বেগুনের চিপস। বেগুনকে খুব পাতলা স্লাইসে কেটে নিয়ে তাতে গোলমরিচ, মিহি রসুনের কুচি, চিলিফ্লেকস এবং নুন মাখিয়ে একটি বেকিং ট্রেতে সাজিয়ে ৪৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ১০-১৫ মিনিটে বেক করুন।
৪। পাকা আমের সালসা
গরমে পাকা আম সব বাড়িতেই মজুত থাকে। সেই আম সচরাচর মিষ্টি খাবারের বিকল্প হিসাবেই খাওয়া হয়। আমের সালসা মিষ্টি নয়। অথচ দিব্যি স্বাস্থ্যকর জলখাবার বা স্ন্যাকস হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। এর জন্য দরকার হবে টুকরো করা পাকা আম, একই ভাবে টুকরো করা পেঁয়াজ, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, লেবু, ক্যাপসিকাম, সম্ভব বলে লাল বেলপেপার এবং ধনেপাতা কুচি। সব কিছু একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এর মধ্যে দিতে হবে একটা বড় পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজনমতো নুন। এর সঙ্গে নাচোস অথবা চিপসও খেতে ভাল লাগবে।
৫। ক্যাপসিকাম স্টিক
এক কাপ ময়দা বা আটার সঙ্গে আধ কাপ সুজি আর জল মিশিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিন মিহি করে কুচোনো আধ কাপ ক্যাপসিকাম, ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজকুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি এবং প্রয়োজনমতো নুন। কড়ায় তেল গরম করুন। এ বার একটি প্লাস্টিকের কোণে ব্যাটারটি ঢেলে মুখ কেটে নিন। গরম তেলে লম্বা লম্বা কাঠির আকারে ব্যাটার দিয়ে ভেজে তুলুন। হালকা অথচ মুখরোচক এই খাবার সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গী হিসাবে ভাল লাগবে।