র্যাচেলের সঙ্গে নিয়মিত টেবিল টেনিস খেলে ওই রোবট। ছবি: সংগৃহীত।
ফিট থাকার জন্য শরীরচর্চা করেন অনেকে। শরীরচর্চা করার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। কেউ সাঁতার কাটতে পছন্দ করেন, কেউ জিম, আবার কেউ নাচকেই শরীরচর্চার মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। ৯০ ছুঁইছুঁই র্যাচেল উইলিয়াম যেমন বেছে নিয়েছিলেন টেবিল টেনিস। নিয়মিত খেলতেও যেতেন। কিন্তু করোনা অতিমারির সময়ে সেই অভ্যাস একেবারেই নষ্ট হতে বসেছিল। কিন্তু ফিটনেস বজায় রাখার সঙ্গে আপস করেননি তিনি। তবে এ ব্যাপারে পুরো কৃতিত্বই নাকি বিশেষ একটি যন্ত্রের। তেমনই জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা।
২০২০ সালে অতিমারি পর্বে ঘরবন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন র্যাচেল। কিন্তু তিনি জানতেন, সুস্থ থাকতে গেলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। কিন্তু একা একা টেবিল টেনিস খেলা সম্ভব নয়। তাই সাত-পাঁচ না ভেবে ইন্টারনেট ঘেঁটে, ২০০ ডলার খরচ করে বিশেষ একটি রোবট কিনে ফেলেছিলেন তিনি। ভারতীয় মুদ্রায় যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭ হাজার টাকা। র্যাচেল বলেন, “যন্ত্রটি একটু দামি বটে। কিন্তু আমার জন্যে একেবারে যথাযথ। আমার সুস্থ থাকার পুরো কৃতিত্ব এই যন্ত্রের।”
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উল্টো দিকে থাকা মানুষের চেয়ে রোবট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করলে মাথার পরিশ্রম হয় অনেক বেশি। এই মাথা খাটানোর কাজটি নিয়মিত করলে বয়সকালে পার্কিনসন্স, অ্যালঝাইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। র্যাচেলের শাশুড়ি অ্যালঝাইমার্সের রোগী ছিলেন। তাঁর করুণ পরিণতি দেখে ২০০৭ সালে তিনি জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রোগটি নিয়ে গবেষণা সংক্রান্ত পড়াশোনা করতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন, শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে বয়সকাল পর্যন্ত মন, মস্তিষ্কেও ভাল রাখা যায়। তখন থেকেই তিনি টেবিল টেনিস শিখতে সচেষ্ট হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy