ক্যালেন্ডারে এ বছর পুজো শুরু ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে। ওই দিনই ষষ্ঠী। তার আগে ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শুরু হবে কলকাতার নামী পুজোর মণ্ডপগুলির। প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যাবে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে তারও আগে কলকাতার দুর্গাপুজোর এ বছরের থিম, মণ্ডপ, প্রতিমা দেখে ফেলবেন বিশ্ববাসী!
কলকাতার দুর্গাপুজোর খ্যাতি দেশের বাইরে ছিলই। তবে ২০২১ সালে ইউনেস্কোর কাছ থেকে ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে’র তকমা পাওয়ার পরে, তা নিয়ে শিল্পপ্রেমীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। কারণ, দুর্গাপুজো তো আর নিছক একটি উৎসব নয়। একে ঘিরে যে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়, যে উৎসব কয়েক লক্ষ মানুষের মুখে ভাত জোগায় তার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কারুশিল্প। মাটির কাজ থেকে শুরু করে নানা ধরনের জিনিস দিয়ে তৈরি শিল্প দেখে মন ভরাতেই ভিড় জমান মানুষ। কারুকলাকে উদ্যাপনের এই মাপের উৎসব এবং তাকে ঘিরে উন্মাদনা গোটা বিশ্বে কমই আছে। স্বাভাবিক ভাবেই কলকাতার দুর্গাপুজো শিল্পপ্রেমীদের কাছে এক বিস্ময়ের ব্যাপার। তাঁদের সেই আগ্রহ আর কৌতূহলকে উসকে দিতেই কলকাতার সেরা দুর্গাপুজোগুলির একটি প্রিভিউ শো হবে আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন:
এই প্রিভিউ শো হল দুর্গা পুজোর আগেই এক ধরনের ‘মিনি পুজো’। পুজোর থিম এবং সেই সংক্রান্ত শিল্পের প্রদর্শনী। যেখানে কলকাতার সেরা ২৪টি পুজো তাদের মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমা, মূল ভাবনা এবং ওই ভাবনা সম্বলিত শিল্পকলা মেলে ধরবে ভিন্দেশি এবং ভিন্রাজ্যের শিল্পপ্রেমীদের জন্য। থাকবেন ওই শিল্পের নেপথ্যে উদয়াস্ত পরিশ্রম করা শিল্পীরাও। শিল্পপ্রেমীরা ওই শিল্পীদের সঙ্গে তাঁদের শিল্প নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবেন। শুধু তা-ই নয়, দুর্গাপুজোর ‘প্রিভিউ শো’ থেকে তাঁরা কিনতেও পারবেন এ বছরের পুজোর ভাবনা সম্বলিত নানা ধরনের কারুশিল্প।
মাস আর্টের সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি বোস শুভ উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। এছাড়াও ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য এবং সংস্কৃতি বিভাগের ডিরেক্টর অফ কালচার এবং স্পেশ্যাল কমিশনার কৌশিক বসাক। ছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের আর্কিটেকচার অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিংয়ের অধ্যাপক হৈমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, আলিপুর সংগ্রহশালার ডিরেক্টর এবং ইতিহাসবিদ জয়ন্ত সেনগুপ্ত এবং ইউনেস্কোর নয়াদিল্লির চিফ অফ সেক্টর ফর কালচার জুনহি হান। ছবি: সংগৃহীত।
বিগত তিন বছরের মতো এ বছরও কলকাতার ওই প্রিভিউ শো-এর আয়োজন করেছে কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাস আর্ট। মূলত সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনের এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য একটাই। বাংলার শিল্পীদের কাজকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। এ ব্যাপারে মাস আর্ট প্রথম থেকেই ইউনেস্কোর সহায়তা পেয়ে আসছে বলে জানালেন মাস আর্টের সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি বোস শুভ।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর, মহালয়ার তিন দিন আগে, বঙ্গে দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগেই শুরু হচ্ছে ইউনেস্কো এবং মাস আর্টের মিলিত ওই প্রিভিউ শো। আলিপুর মিউজ়িয়ামে পুজোর আগেই শারদোৎসবের ‘বোধন’ হবে বিশ্বের শিল্পপ্রেমীদের জন্য।
গত ১৮ অগস্ট অনুষ্ঠানটির ঘোষণা করে মাস আর্ট। সেই অনুষ্ঠানে ধ্রুবজ্যোতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য এবং সংস্কৃতি বিভাগের ডিরেক্টর অফ কালচার এবং স্পেশ্যাল কমিশনার কৌশিক বসাক। ছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের আর্কিটেকচার অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিংয়ের অধ্যাপক হৈমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, আলিপুর সংগ্রহশালার ডিরেক্টর এবং ইতিহাসবিদ জয়ন্ত সেনগুপ্ত এবং ইউনেস্কোর নয়াদিল্লির চিফ অফ সেক্টর ফর কালচার জুনহি হান।