Advertisement
০২ মে ২০২৪
Sick leave

অসুস্থতার ছুটি নিয়ে ২০ বছর বাড়িতেই কাটালেন শিক্ষিকা, শেষমেশ কি টিকল চাকরি?

ছুটি নিয়ে ২০ বছর ধরে স্কুলেই গেলেন না শিক্ষিকা। দু’দশক পরে বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ল স্কুল কর্তৃপক্ষের। কী শাস্তি পেলেন শিক্ষিকা?

Symbolic Image.

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ভেনিস শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ১৮:৩৩
Share: Save:

২০ বছর ধরে খাতায়কলমে তিনি শিক্ষিকা। কিন্তু এক দিনও স্কুলে যাননি। অসুস্থতার ছুটি নিয়ে স্কুলে না গিয়ে বাড়িতেই কাটিয়ে দিয়েছেন এতগুলি বছর। ছাত্রদের পড়ানো তো দূর, স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ কোনও মিটিংয়েও যোগ দিতেন না তিনি। অবশেষে কিনজিয়ো পাওলিনা নামে ইটালির ভেনিস শহরের বাসিন্দা ওই শিক্ষিকাকে বহিষ্কার করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ৫৬ বছর বয়সি পাওলিনাকে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট ‘সবচেয়ে অযোগ্য শিক্ষিকার আখ্যা দিয়েছে। তবে স্কুলে না যাওয়া সত্ত্বেও প্রতি মাসে বেতন পাচ্ছিলেন কি না, সে বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

দু’দশক আগে ভেনিসের মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত একটি স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন কিনজিয়ো। কিনজিয়ো সাহিত্য এবং দর্শনের শিক্ষিকা ছিলেন। কিন্তু স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়া সে কথা জানত না। ক্লাসরুমে তো দূরে থাক, স্কুল চত্বরে কিনজিয়োকে শেষ কত বছর আগে দেখেছেন, মনে করতে পারেন না তাঁর সহকর্মীরা। কয়েক বছর পর পর হয়তো হঠাৎ করেই এক দিন উদয় হতেন। এসেই ছাত্রদের উপর হম্বিতম্বি শুরু করতেন। পড়া না পারলে দিতেন বকুনিও। পরীক্ষা না নিয়েই ইচ্ছামতো নম্বর বসিয়ে দিতেন। পড়ুয়ারা ভয়ে তটস্থ থাকত। তবে এতগুলি বছরে সর্বসাকুল্যে তিন থেকে চার বার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রথম দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে এত গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা অনেক বেশি। কোনও একজন না হলে ক্লাস নিতে কোনও অসুবিধা হয় না। ফলে কিনজোয়া আসছেন কি না, সে বিষয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। একটা সময় স্কুল কমিটির সদস্যরা ভুলতে বসেছিলেন যে, কিনজোয়া নামে কোনও শিক্ষিকা আদৌ কোনও দিন স্কুলে ছিলেন। কিছু দিন আগেই দরকারি নথিপত্র ঘাঁটতে গিয়ে কিনজোয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কিনজোয়ার কাছে বহিষ্কারের চিঠি পৌঁছয়। অবসর নেওয়ার বয়স হওয়ার আগেই তাঁকে বহিষ্কার করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কিনজোয়া। তবে গোটা ঘটনাটির কথা জেনে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য স্কুলের সিদ্ধান্তের পক্ষেই রায় দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

leave Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE