কর্মক্ষেত্রে এত স্ট্রেস কেন হয় বলুন তো?
আমরা বুঝতে না পারলেও এর পিছনে থাকে অনেকগুলো কারণ। আর গবেষকরা জানাচ্ছেন, এর প্রধান কারণ হতে পারে আপনার প্রতি বসের আচরণ বা বসের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক। যার উপর নির্ভর করে আপনার খুশি থাকা।
যদি বস আপনার জন্য কাজের পরিস্থিতি খুব জটিল করে তোলেন এবং সারা দিনই নানা রকম দাবি আপনার কাছে রাখতে থাকেন, তা হলে ক্রমাগত মাথার উপর চাপ আপনার জীবন দুর্বিসহ করে তুলতে পারে। তবে গবেষকরা এও জানাচ্ছেন, এই স্ট্রেসের মোকাবিলা করতে করতেই এক সময় খুশি থাকার পথও খুঁজে পেতে পারেন আপনি।
ব্রিটেনের পূর্ব অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, পর্তুগাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০০ জন কর্মীকে নিয়ে তিনটি গবেষণা করেন। এদের মধ্যে ছিলেন ম্যানেজমেন্ট, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল অপারেশন, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সেলস, এডুকেশন ও হেলথকেয়ার কর্মী। গবেষকরা কাজের ফলে এদের ইমোশনাল এক্সজশন, খুশি ও পারসিভড সুপারভাইজার সাপোর্ট (পিএসএস) পরীক্ষা করার জন্য কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেন।
আরও পড়ুন: ‘মানডে ব্লুজ’ কাটিয়ে কাজে ফেরার ৫ উপায়
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা বসের কাছ থেকে উপযুক্ত সাহায্য পান না (লো পিএসএস) তাঁরা নিজেদের মধ্যেই সোশ্যাল সাপোর্ট, প্রয়োজনীয় উপদেশ পাওয়ার জন্য অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেন। যা তাঁদের নিজেদের মধ্যেই খুশি খুঁজে নিতে ও খুশি থাকতে সাহায্য করে।
এই বিষয়ে পূর্ব অ্যাঙ্গলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফেরেরিতা পেরাল্টা জানান, পারসিভড সুপারভাইজার সাপোর্টের ভাল-মন্দ দুটো দিকই রয়েছে। এক দিকে বসের সাহায্য কর্মীদেরকে খুশি রাখে। কিন্তু তার ফলে সন্তুষ্ট থাকার তারা নিজেদের মতো খুশি খুঁজে নেওয়ার বা খুশি থাকার পরিকল্পনা করেন না। অন্য দিকে, বসের দুর্ব্যবহারের ফলে কর্মীরা যে স্ট্রেস, অশান্তিতে ভোগেন তার ফলে তারা নিজেদের জীবনে খুশি থাকার অনেক রকম পরিকল্পনা করেন ও খুশি থাকতে চেষ্টা করেন। কাজেই, বসের ব্যবহার কেমন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি তার মোকাবিলা কী ভাবে করছেন। যা নির্ধারণ করে দেবে আপনার ভাল থাকা বা না-থাকা। সেই সঙ্গেই খুশি থাকার জন্য কোন ধরনের কাজ আপনি খুঁজে নিচ্ছেন, তার উপরও নির্ভর করে মানসিক শান্তি।
ওয়ার্ক অ্যান্ড স্ট্রেস জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy