Advertisement
E-Paper

চুলের পরিচর্যায় ৫ নিয়ম মেনেই দেখুন, শুধু বর্ষা নয়, বছরভরের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে

ছোট হোক বা বড়—ঘন, সুন্দর চুল সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই। সে কারণেই চুল ঝরলে দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না। বর্ষার মরসুমে চুলের সমস্যা বেড়ে যায় অনেকটাই। এমন সময় কী করলে ভাল থাকবে কেশ?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৩
বছরভর ঘন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে কেশচর্চা করবেন কী ভাবে?

বছরভর ঘন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে কেশচর্চা করবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

বর্ষা মানেই মাথা জুড়ে খুশকি, নয়তো চুল পড়ার সমস্যা। কারও আবার কিছুতেই চুলের রুক্ষ ভাব কাটতে চায় না। তার উপর দোসর হয়ে বসে ডগা ফাটার সমস্যা। লম্বা চুল পাওয়া দূরের কথা, ছোট চুল ভাল রাখতেই নাজেহাল অবস্থা হয় অনেকেরই। মরসুমভেদে বদলে যায় সমস্যা। তবে কারও অভিযোগ, কিছুতেই কম হয় না চুল ঝরা।

কেশচর্চাশিল্পীরা বলেন, চুল ঝরার নানা কারণ থাকে। তবে ঠিকমতো পরিচর্যার অভাব সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তবে, বর্ষা হোক বা অন্য মরসুম, কয়েকটি কৌশল অনুসরণ করলে চুলের সমস্যা কমবে নিঃসন্দেহে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকবে কেশ।

১। চুলের সমস্যা দূর করতে হলে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষা জরুরি। মাথার ত্বকে ঘাম জমে চুলের ফলিকল দুর্বল হলে চুল ঝরবে। আবার তেল, ময়লা, ঘাম জমতে থাকলে বাড়বে সংক্রমণের সম্ভবনাও। খুশকি, মাথা চুলকানোর সমস্যায় জেরবার হতে হবে। সে কারণে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে মাথা পরিষ্কার করা জরুরি। অ্যালকোহল, সালফেট—ি এ রকম উপাদান শ্যাম্পুতে থাকলে চুলের ক্ষতি করতে পারে। এগুলি এড়িয়ে চলুন।

২। ভিজে চুল তোয়ালে দিয়ে ঘষে মুছলে, আঁচড়ালে বা টেনে বাঁধলে চুলের সমস্যা বাড়বেই। ভিজে চুলের গোড়া আলগা থাকে, একটু টানাটানি বা ঘষা লাগলেই ঝরে যায়। তা ছাড়া, ভিজে চুল বাঁধলে গোড়া ভিজে থাকবে। তা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। সে কারণে, ভিজে চুল খুব সাবধানে মুছতে হবে। ড্রায়ার ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক হাওয়ায় বা পাখার হাওয়ায় চুল শুকিয়ে তবেই বাঁধতে হবে।

৩। কেশচর্চাশিল্পীদের অনেকেই বলেন, চুলে তেল মাখা ভাল। ঈষদুষ্ণ তেল মাসাজ় করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন হয়। গোড়া মজবুত হয় তেল। চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে রাতভর তেল মেখে থাকলে বা জবজবে করে তেল মাখলেই যে উপকার মিলবে তা নয়। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে পরিষ্কার মাথার ত্বকে তেল মাখলেই যথেষ্ট।

৪। রুক্ষ চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু তেল মাসাজই যথেষ্ট নয়, স্নানের পর কন্ডিশনার ব্যবহার এবং সিরাম মাখাও জরুরি। সিলিকন-মুক্ত সিরাম ব্যবহার করা ভাল। তা ছাড়া, বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্যে কেশসজ্জা চুলের ক্ষতি করে। ঘন ঘন ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। কেশসজ্জা যতটা সম্ভব এই ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

৫। চুল ভাল রাখার জন্য কেশের যত্ন নেওয়া যতটা জরুরি, ততটাই দরকারি খাওয়াদাওয়ায় জোর দেওয়া। চুলের বাড়বৃদ্ধিতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের বিশেষ ভূমিকা থাকে। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, সবুজ শাকসব্জি, বাদাম, ফল— এই সব কিছুই নির্দিষ্ট পরিমাণে দৈনন্দিন ডায়েটে রাখা দরকার।

Hair Care Tips Monsoon hair care tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy