লিভার ক্যানসারের চিকিৎসার পর থেকেই নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার দীপিকা কক্কর। চুল ঝরে প়ড়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে অনেক বেশি। ফলে মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরেছে হিন্দি টেলিভিশনের অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি প্রাকৃতিক উপায়ে কেশচর্চা করতে দেখা গিয়েছে দীপিকাকে। নিজের ভ্লগে নিজের বানানো হেয়ারমাস্কে সন্ধান দিলেন তিনি। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রী নিজের চুলেও মাখছেন, আবার দু’বছরের পুত্রসন্তান রুহানের মাথাতেও মাখিয়ে দিচ্ছেন। স্বামী শোয়েব ইব্রাহিম প্রশ্ন করছেন, ‘‘এত ছোট বয়স থেকে মাথাচ্ছ?’’ দীপিকার উত্তর, ‘‘সবকটাই প্রাক়ৃতিক উপাদান। তাই চিন্তার কিছু নেই।’’
এই মাস্কে আছে তিনটি উপাদান — চালের গুঁড়ো (রাইস ফ্লাওয়ার), তিসির বীজ (ফ্ল্যাক্স সিড) ও নারকেল তেল। তিনটি উপাদানই চুলের ঘরোয়া টোটকার জন্য পরিচিত।
উপাদানগুলির উপকারিতা
চালের গুঁড়ো: চুলের গোড়ায় জমে থাকা অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বককে মৃদু ভাবে এক্সফোলিয়েট করার জন্য চালের গুঁড়ো খুব উপকারী। চুলে হালকা ঔজ্জ্বল্যও আনে।
তিসির বীজ (ফ্ল্যাক্স সিড): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই বীজ চুলের শুষ্কতা ও জট কমায়। নিয়মিত ব্যবহারে চুল মসৃণ হয় ও সহজে আঁচড়ানো যায়।
নারকেল তেল: এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে। চুল ও মাথার ত্বককে গভীর ভাবে আর্দ্র রাখে, চুলে ভাঙন ধরার সম্ভাবনা কমায় এবং পুষ্টি জোগায়।
এই তিন উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে চুল আরও কোমল, মজবুত ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। তবে সব প্রাকৃতিক উপাদান মানেই কি স্বাস্থ্যকর বা শিশুদের জন্যও কি তা নিরাপদ?
আরও পড়ুন:
রাইস ফ্লাওয়ার, ফ্ল্যাক্স সিড ও নারকেল তেলের মতো উপাদানগুলিতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবে এগুলি সবার ত্বকে সামন ভাবে কাজ না-ও করতে পারে। বিশেষ করে শিশুর মাথার ত্বক প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি কোমল, তাই শিশুদের ক্ষেত্রে এমন মাস্ক প্রয়োগে সতর্কতা জরুরি। তা ছাড়া এই উপাদানগুলি সরাসরি চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে, এমন ধারণা পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নয়। শিশুরোগ চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল বলছেন, ‘‘উপাদানগুলি অবশ্যই ভাল। প্রচুর উপকার রয়েছে। কিন্তু শিশুদের জন্য উপকারী না-ও হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক নয় তারা। শিশুদের ত্বকে চট করে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।’’ শিশুদের ক্ষেত্রে হালকা বেবি শ্যাম্পু, নারকেল তেলের হালকা মালিশ এবং নিয়মিত মাথা পরিষ্কার রাখলেই যথেষ্ট। উপরন্তু ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পর বা চিকিৎসা চলাকালীন কী কী উপাদান ব্যবহার করা উচিত, সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া প্রয়োজন সকলের।