খেলার জীবন থেকে পর্দায় আসার পরও প্রাচী তেহলানের জীবন থেকে শৃঙ্খলা হারায়নি। এক কালে ভারতের জাতীয় নেটবল টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক ছিলেন তিনি। বাস্কেটবলেও সমান ভাবে দক্ষ প্রাচী। এখন পঞ্জাবি এবং মালয়লম ছবির দুনিয়ায় পরিচিত মুখ। এক সময়ে ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে শিরোনাম দখল করেছিলেন প্রাক্তন অ্যাথলিট। তবে কোনও কঠিন ডায়েট বা কৃচ্ছ্রসাধন করে নয়, বরং ধীরে ধীরে, নিজের শরীরের সঙ্গে বোঝাপড়া করে বদল এনেছিলেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওজন বেড়ে গিয়ে ৯৮ কেজি হয়ে গিয়েছিল প্রাচীর। সেখান থেকে সাড়ে ৪ মাসের মধ্যে ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেন তিনি। শরীরচর্চা, ভাল খাওয়াদাওয়া, নিয়মানুবর্তিতার কারণে লক্ষ্যে পৌঁছোতে পেরেছিলেন তিনি। তবে প্রাচীর ডায়েটের মূলমন্ত্র ছিল একটিই— শরীরের প্রদাহ কমিয়ে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। সম্প্রতি অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়াও এমন ভাবেই অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কথা বলেছেন। প্রাচীও প্রতি দিনের খাবারে এমন উপাদান রাখতেন, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখে ও কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। ৩-৪ জন পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা নিজের ডায়েট স্থির করেছিলেন প্রাচী।
প্রাচী তেহলানের শরীরচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাচীর দিনলিপি
সকালে: ভিজিয়ে রাখা চিয়া বীজের সঙ্গে লেবুর জল মিশিয়ে খেতেন প্রাচী। যেখান থেকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং ভিটামিন সি-র চাহিদা পূরণ হয়ে যেত। সকালের জলখাবারে থাকত ডিমের কোনও পদ। তা ছাড়া শরীরচর্চা করার আগে প্রোটিন শেকও খেতেন প্রাচী।
দুপুরে: অল্প ভাতের সঙ্গে মুরগির মাংসের ঝোল, প্রচুর শাকসব্জি দেওয়া স্যালাড খেতেন দুপুরে।
রাতে: ওজন কমানোর জন্য রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতেন। তবে নৈশভোজে কখনও বেশি দেরি করতেন না অভিনেত্রী। রাতে হালকা স্যুপ, স্যালাড বা প্রোটিন র্যাপ খেতেন প্রাচী।
অতিরিক্ত তেলে ভাজা, চিনিযুক্ত, প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে শুরু করে ময়দা, দুধ বাদ দিয়ে জিয়েছিলেন প্রাচী। তার বদলে রাখেন পরিমিত পরিমাণে ঘি এবং মাখন।