ইয়ামি গৌতমের মিষ্টি মুখের জাদুতে মুগ্ধ অনুরাগীরা। অভিনেত্রীর অভিনয় ক্ষমতার চেয়েও সকলের নজরে আসে তাঁর সুন্দর মুখশ্রী, হাসি। ত্বকে খেলা করে আভা। বয়সের ছাপ সে ভাবে চোখে পড়ে না। বরং ইয়ামি যেন চির তরুণী।
অভিনেত্রীর এমন রূপ কী ভাবে, তা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে খোলসা করেছিলেন ইয়ামি। নামী-দামি প্রসাধনী নয়, বরং ঘরোয়া রূপচর্চার পন্থাই তাঁর কাছে ভরসাযোগ্য। আর সেই তালিকায় রয়েছে হলুদ।
ত্বকের দাগ-ছোপ তুলতে, ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে হলুদ কার্যকর। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। ছোটখাটো সংক্রমণও দূরে রাখে এটি। কিন্তু ত্বক যদি স্পর্শকাতর হয়, তবে কি তা লাগানো চলে?
ইয়ামি বলছেন, সরাসরি হলুদ নয়, তিনি হলুদ মাখেন মুলতানি মাটিতে মিশিয়ে। অতীতে শুটিংয়ের সময়েও তিনি এটি ব্যবহার করেছেন। ইয়ামির কথায়, ‘এটি ম্যাজিক’।
রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার নতুন নয়। মুলতানি মাটিও ত্বকের প্রদাহ কমায়, আরাম দেয়। বিশেষত মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল-ময়লা তুলে ফেলতে সাহায্য করে মুলতানি মাটি। ইয়ামির কথায়, ‘‘প্রাকৃতিক উপকরণের অনেক গুণ আছে। হলুদ অ্যান্টিসেপ্টিক। সিরাম, শিট মাস্কের যুগে আমরা অনেকেই মা-ঠাকুরমার পন্থার কথা ভুলতে বসেছি।’’
আরও পড়ুন:
হলুদ-মুলতানির গুণ
রাতারাতি মুখে জেল্লা ফেরাতে পারে না এই প্যাক। তবে নিয়ম করে ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল হয় এই প্যাকে। মুলতানি মাটি প্রদাহ কমায়, ত্বককে আরাম দেয়। হলুদ কালো দাগছোপ তুলে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলেন। সপ্তাহে একদিন করে এই প্যাক মাখলেই মুখে আসবে আভা।
বাজার থেকে কেনা দামি টোনার নয়, ভাল করে মুখ পরিষ্কার করার পর ইয়ামি টোনার হিসাবে ব্যবহার করেন ডাবের জল। অভিনেত্রীর মতে, ত্বকের জন্য ডাবের জল বেশ উপকারী।
ইয়ামি মনে করেন সব সময় দামী প্রসাধনীতে সৌন্দর্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে থাকে না। এর সঙ্গে বরং জড়িয়ে থাকে নিজস্ব বিশ্বাস, সংস্কৃতিও।
হলুদ এবং মুলতানি মাটি উপকারী। তবে ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল হলে প্যাকটি মাখার আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি। মুখে বা হাতের কোনও জায়গায় তা সামান্য পরিমাণ লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করে দেখতে হবে জ্বালা বা প্রদাহ হচ্ছে কি না। কিছু না হলে এটি মাখা যাবে।