ছবি: সংগৃহীত
বাড়িতে মোট আলমারির সংখ্যা ১৬টা। দেড়খানা আলমারিতে কোনও রকমে থাকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পোশাক-আশাক। দু’টোয় থাকে কন্যার জামাকাপড়। বাকি সব জুড়ে বিরাজ করে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাড়ি!
এক শাড়ি দু’বার পরেন না তিনি। অনেক শাড়িই এখনও না পরা। এতগুলি আলমারি বাড়িতে। তা ছাড়াও শাড়ি রয়েছে অন্য বাড়িতে, কোনও কোনও শাড়ি আবার ধোপার কাছে। মোট শাড়ির সংখ্যা তিনি নিজেও বলতে পারবেন না। কিন্তু হলে কী হবে! প্রত্যেকটা শাড়ির কথা তিনি মনে রাখেন। নিজের হাতে গুছিয়ে রাখেন। প্রত্যেক শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে ব্লাউজ আর গয়না ঠিক করে এক জায়গায় রাখা থাকে বৈশাখীর। ফলে কোথায় যাওয়ার আগে খুব বেশি সময় লাগে না তাঁর তৈরি হতে।
শাড়ির শখ কবে থেকে? উত্তরে বৈশাখী হেসে আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘কলেজে পরার সময় থেকে শাড়ি পরি। তখন একটা ধারণা ছিল শাড়ি পরা মেয়ে মানেই সে বাংলা কিংবা ফিলোজফি ডিপার্টমেন্টের। আমি সেই ধারণা ভেঙেছিলাম। সহপাঠীদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে বেশি শাড়ি পরতাম।’’
বৈশাখীকে দেখে তাঁর কন্যাও ছোট থেকেই শাড়ি পরায় উৎসাহী হয়েছে। একটা সময় পর্যন্ত তাকে ছোটদের শাড়ি কিনে দিতেন বৈশাখী। কিন্তু এখন তাকে না প্রাপ্তবয়স্কদের শাড়ি পরানো যায়, না ছোটদের। তাই বিশেষ ভাবে তৈরি করিয়ে দেন বৈশাখী।
কিন্তু এই বিপুল শাড়ির সম্ভারে বৈশাখীর মনে থাকে কী করে যে কোন শাড়ি আছে, কী নেই? প্রচণ্ড হেসে বৈশাখী বললেন, ‘‘শাড়িগুলো আমার কাছে সন্তানের মতো। বেছে বেছে কেনা। কিংবা হয়তো কেউ ভালবেসে উপহার দিয়েছে। প্রত্যেকটার কথা আলাদা করে মনে থাকে। কখনও কখনও মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় কোনও শাড়ির কথা মনে পড়ে। হঠাৎ হয়তো মনে হল, ওই শাড়িটা কেনা হয়েছিল, এখনও তো পরা হল না। শোভন আমার কাণ্ড দেখে হেসেই ফেলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy