ঘুম ভাঙার পর চুল আঁচড়ালেই জট টের পাওয়া যায়। যতই কেশচর্চায় নিজেকে ব্যস্ত রাখুন না কেন, ঘুমের সময়েই ভুল থেকে যাচ্ছে। আর অজান্তেই ক্ষতি হচ্ছে চুলের। রাতে ঘুমের সময়টিও চুলের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর সে ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় মেনে চলা দরকার রাতে শোয়ার সময়ে। ঘুমের আগে চুল বেঁধে রাখা, খুলে রাখা বা কোন পাশ ফিরে ঘুমোনো উচিত, ইত্যাদির উপরও চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। নজর না দিলে চুল ধীরে ধীরে দুর্বল হয়, ভাঙন ধরে এবং ঔজ্জ্বল্য হারায়। তাই ঘুমের আগে, এমনকি ঘুমের সময়েও মেনে চলুন এই কৌশলগুলি।
চুল বেঁধে, না কি খুলে, কী ভাবে শোয়া উচিত?
রাতে চুল শক্ত করে বাঁধলে গোড়ায় টান পড়ে, যার ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার পুরো খুলে রাখলেও বালিশের সঙ্গে ঘষে ঘষে চুলে ভাঙন ধরতে পারে। তাই হালকা পনিটেল বা ঢিলে বেণীই উপযুক্ত। এতে ঘর্ষণ কমে, চুল সকালে মসৃণ থাকে এবং জটও কমে। চাইলে সিল্ক বা সাটিনের ফিতে দিয়ে চুল বেঁধে রাখতে পারেন হালকা করে। এতে চুল আরও সুরক্ষিত হয়।
শোয়ার আগে চুল বেঁধে শোবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কোন পাশ ফিরে ঘুমোলে চুল ভাল থাকে?
একটানা এক পাশ ফিরে ঘুমোতে থাকলে বালিশের চাপ ও ঘর্ষণ হয় মাথার একটি দিকেই। আর সেই দিকের চুলই দুর্বল হতে থাকে। এর ফলে চুল ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যেতে পারে। তাই বিভিন্ন ভঙ্গিতে ঘুমোনোর অভ্যাস করুন। ধরা যাক এক বার ডান পাশে, এক বার বাঁ পাশে, কখনও চিত হয়ে ঘুমোন। এতে চুলের গোড়া সমান ভাবে শক্ত থাকে।
আরও পড়ুন:
ঘুমের আগে কেশচর্চার টোটকা:
· হালকা হেয়ার সিরাম বা অ্যালোভেরা জল স্প্রে করে নিন।
· ভেজা চুলে কখনও ঘুমোবেন না।
· সাটিন বা সিল্কের বালিশ কভার ব্যবহার করুন।
· মাঝে মাঝে চুল ঢিলে করে বেণী করুন, খুব টেনে বাঁধবেন না।