স্নানের আগে নাভিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দেওয়ার রেওয়াজ বহু পুরনো। অনেকেই বলেন, নিয়ম করে রোজ নাভিতে নারকেল তেল দিলে নানা রকম রোগবালাই দূরে থাকে। নাভির সঙ্গে গোটা শরীরের স্নায়ুর যোগ রয়েছে। সে কথা ভুল নয়। তবে নারকেলের তেলের বদলে নাভিতে নিমতেল দিলেও কিন্তু অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান সম্ভব। ত্বকের জন্য এই অভ্যাস নাকি দারুণ উপকারী। জেনে নিন, নাভিতে কয়েক ফোঁটা নিম তেল দেওয়ার অভ্যাস করলে আর কী কী উপকার মিলবে।
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টিএজিং গুণ রয়েছে নিমতেলের। পুজোর আগে ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নাভিতে নিমতেল দেওয়া শুরু করতেই পারেন।
সূর্যের চড়া রোদে কিংবা হরমোনের ওঠানামার কারণে ত্বকে কালচে দাগছোপ পড়ে অনেকের। নাভিতে ফোঁটা ফোঁটা করে নিমতেল দিলে কিন্তু এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অল্পবয়সে বলিরেখার সমস্যা এড়াতেও কিন্তু এই পন্থা দারুণ কাজের। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা রোজ এই নিয়ম মেনে চললে ত্বক আর্দ্র থাকবে, ব্রণর সমস্যাও দূর হবে।
নাভিতে নিম তেল দিলে আর কী কী লাভ হয় শরীরের?
হজমশক্তি ভাল হয়: নাভিতে তেল মালিশ করলে পেটে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়ে। ফলে হজমক্ষমতা বাড়ে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁদেরও উপকার হয়। পেটগরম, পেটখারাপ, গ্যাস, পেট ফাঁপা কিংবা হজমের গোলমাল— সবই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নাভিতে তেল দিলে।
মন শান্ত হয়: নাভিতে তেল মালিশে মন শান্ত হয়। এমনও বলা হচ্ছে আয়ুর্বেদে। মনঃসংযোগ বাড়ে, আবেগে নিয়ন্ত্রণ আসে। উদ্বেগ কমাতেও এই অভ্যাসের উপর ভরসা করতে পারেন।
গাঁটের ব্যথা কমে: রাতে ঘুমোনোর আগে রোজ নাভিতে কয়েক ফোঁটা তেল দিলে অস্থিসন্ধির ব্যথায় আরাম মেলে। নাভির সঙ্গে সারা শরীরের স্নায়ু, শিরা-উপশিরার যোগ রয়েছে। তেল দিয়ে নাভি মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তেল মালিশ দারুণ কাজ করে।
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা থেকে রেহাই: ঋতুস্রাবের সময় পেটের তীব্র যন্ত্রণায় অনেকেরই ভোগান্তি হয়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রাতে ঘুমোনোর সময় নাভিতে নিমতেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন, উপকার পাবেন।