ভিটামিন সি-যুক্ত সিরাম ব্যবহার করার সবচেয়ে ভাল সময় হল দিনের বেলা। ছবি: সংগৃহীত।
সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করে্ন, অথচ ভিটামিন সি-যুক্ত সিরামের নাম শোনেননি, এমন মানুষ কমই আছেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসাধনীতেও নানা রকম বদল এসেছে। ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার থেকে এখন সিরাম ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। তবে সিরাম মাখছেন বলে যে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার প্রয়োজন ফুরিয়েছে, এ কথা একেবারেই বলছেন না চিকিৎসকেরা। তবে, ত্বকের নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা যেমন ব্রণ, র্যাশ, বলিরেখা, কালচে ছোপ, ওপেন পোর্স— নির্মূল করতে গেলে সিরাম ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে।
ত্বকচর্চায় ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ কেন?
ভিটামিন সি সিরামের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা সহজে ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি, পরিবেশের নানা রকম দূষণের হাত থেকেও ত্বককে রক্ষা করে। এ ছাড়া ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে। ত্বকের মসৃণ ভাব বজায় রাখতে চাইলেও মাখতে হবে ভিটামিন সি সিরাম।
ত্বকের কালচে ছোপ দূর করতে ভিটামিন সি কি আদৌ কার্যকরী?
ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে ভিটামিন সি সিরামের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করেন ত্বকের চিকিৎসকেরা। পাশপাশি বয়সজনিত কারণে ত্বকের কালচে দাগ, ছোপও দূর করে। তবে কী ধরনের সিরাম ব্যবহার করছেন, তার উপরেও কার্যকারিতা নির্ভর করে। সিরাম যত পাতলা হবে, তা তত তাড়াতাড়ি ত্বকের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। ত্বকের গভীরে পৌঁছতেও বেশি কষ্ট করতে হয় না। তবে ভিটামিন সি সিরামের মধ্যে যদি গ্রিন টি, হায়ালুরনিক অ্যাসিডের মতো উপাদান মেশানো থাকে, তা হলে সিরামের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন ভিটামিন সি সিরাম?
ভিটামিন সি-যুক্ত সিরাম ব্যবহার করার সবচেয়ে ভাল সময় হল দিনের বেলা। ঘুম থেকে উঠে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে মেখে ফেলুন এই সিরাম। তার উপর মাখতে পারেন সানস্ক্রিন। সিরাম মাখার অভ্যাস না থাকলে প্রথমে খুব সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে আপনার ত্বক এই সিরামের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। তার পর যতটা প্রয়োজন, ততটা সিরাম মাখা যেতে পারে। তবে যাঁদের ত্বক শুষ্ক এবং স্পর্শকাতর, তাঁরা ভিটামিন সি সিরাম মাখবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy