মুখে ব্রণ? সমাধান তো হাতের কাছেই! প্রাকৃতিক জিনিসপত্র মাখলেই কাজ হবে। কেউ বলেন, বেশি করে জল খেলেই ত্বকে লাবণ্য ফিরবে। যতই ময়েশ্চারাইজ়ার, ক্রিম মাখা হোক না কেন, জলই আসল।
ত্বকের সমস্যা, চুল পড়া, ওজন বৃদ্ধি—সমাধান হাতের মুঠোয়। সমাজমাধ্যম থেকে সার্চ ইঞ্জিন— সমস্যা দিলেই হাজির সমাধান। আর সে সব দেখেশুনে অনেকেই রূপচর্চা থেকে রূপটান, শরীর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। কিন্তু প্রচলিত সমস্ত ধারণাই কি ঠিক?
ত্বকের চিকিৎসক মিক্কি সিংহ বলছেন, পরিমাণ মতো জল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অবশ্যই ভাল। ত্বকের পক্ষেও তা উপকারী। তবে ত্বকের আর্দ্রতা শুধু জল খেলেই বজায় থাকে না, বরং মরসুম অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার জরুরি। আবার ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দেওয়ার পাশাপাশি তা ধরে রাখারও দরকার হয়। সে জন্য হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, সেরামাইডের মতো উপাদান কাজে আসে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য জল খাওয়া দরকার। তবে তারও মাত্রা আছে। অতিরিক্ত জল খাওয়া যে কোনও মানুষের জন্যই ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষত, কিডনি, হার্টের অসুখ থাকলে জল খেতে হয় মেপে।
প্রাকৃতিক উপাদানে রূপচর্চা করা ভাল
ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার চলে আসছে বহু দিন ধরে। অনেকেই বলেন, এই ফুল বা ওই পাতার শাঁস মুখে মাখা ভাল। আরও ভাল ফল পেতে বাজারচলতি জিনিসের বদলে সরাসরি বাগান থেকে পাতা, ফুল তুলে বা হেঁশেল থেকে মশলাপাতি দিয়ে রূপচর্চা করার পরামর্শও মেলে সমাজমাধ্যমে। কিন্তু এতে কি সত্যিই কাজ হয়? কিছু দিন আগেই অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ভ্রাতৃবধূ নীলম উপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন বিয়ের নিয়ম মানতে গিয়ে হলুদ মাখতে হয়েছিল তাঁকে। দীর্ঘ ক্ষণ সেই অবস্থায় রোদে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে ত্বকে র্যাশ বেরিয়েছে। মিক্কি বলছেন, সব সময়েই যে প্রাকৃতিক উপাদান সরাসরি মাখলে ত্বকের উপযোগী হবে, তা নয়। বিশেষত ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে এমন অনেক কিছু থেকেই জ্বালা, চুলকানি বা প্রদাহ হতে পারে।
আরও পড়ুন:
জ্বালা মানেই উপাদান কাজ করছে?
ফেশিয়াল করলে বা মুখে প্যাক ব্যবহার করলে কারও কারও ত্বকে কমবেশি জ্বালা হয়। এতেই বোঝা যায় উপাদান ত্বকে কাজ করছে, এমন মনে করেন অনেকেই। কিন্তু ত্বকের চিকিৎসক এই বিষয়ে সহমত নন। তাঁর যুক্তি, যে প্রসাধনী বা প্যাক মুখের জন্য ভাল তা ত্বকের পক্ষেও আরামদায়ক হবে। সেটা মাখলে জ্বালা হবে কেন? বরং এমন হলে দ্রুত মুখ ধুয়ে ফেলা দরকার। এবং তা ভবিষ্যতেও না মাখাই ভাল।