পাহাড়ি চড়াই রাস্তায় ট্রেকিং থেকে শুরু করে রোজের অফিস যাতায়াত। পা-বন্ধ স্নিকার্সের কদর আজকের নয়! বর্ষা ছাড়া প্রায় সব ঋতুতেই এই জুতোই ভরসা। তবে সুবিধাজনক ভেবে যাঁরা পরেন, তাঁরা অনেকেই ফ্যাশনের ধার ধারেন না। কেবল জুতো পরলেই তো চলে না, গোটা সাজের জন্য পায়ের সজ্জা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্নিকার্স পরার ক্ষেত্রে খানিক সতর্ক হওয়া উচিত। না হলে ফ্যাশনের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। পুরুষ থেকে মহিলা, যাঁরা স্নিকার্সে অভ্যস্ত, তাঁরা পাঁচ ধরনের স্নিকার্স একেবারেই পরবেন না।
১. অতিরিক্ত বড় আকারের স্নিকার্স
মস্ত বড়, ভারী স্নিকার্স এক সময়ে পুরুষদের সাজে বেশ প্রাধান্য পেত। প্রবল জমকালো জুতোর দিকে সকলের নজর নিয়ে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু এখনকার বাহুল্যবর্জিত সাজে অতিরিক্ত বড় আকারের জুতো মানায় না। গোটা শরীরের চেয়ে বড় দেখায় পা দু’টি। দেহের অনুপাত যেন ঘেঁটে যায়।

অতিরিক্ত বড় আকারের স্নিকার্স। ছবি: সংগৃহীত।
২. পায়ের থেকে বড় বা ছোট স্নিকার্স
স্নিকার্স যতই কেতাদুরস্ত হোক, ঠিক ভাবে পায়ের সঙ্গে খাপ না খেলে, আপনার গোটা সাজই মাঠে মারা যাবে। খুব বড় স্নিকার্স পরলে হাঁটার কায়দা নষ্ট হয়ে যায়। অন্য দিকে খুব ছোট জুতো পায়ে চেপে বসে থাকে। তাতে বাড়ে অস্বস্তি। তাই জুতোর সঙ্গে পায়ের মাপ না মিললে সে জুতো পরা উচিত নয়। এমনকি পায়ের মাপের সঙ্গে যথাযথ না হলে জুতো স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। পায়ে ফোসকা পড়ে, ব্যথা হয়, হাঁটুতেও সমস্যা হতে পারে।

পায়ের থেকে বড় বা ছোট স্নিকার্স। ছবি: সংগৃহীত।
৩. স্নিকার্সে লোগোর বাড়বাড়ন্ত
রুচিশীল ব্র্যান্ডিং এক জিনিস, অত্যধিক লোগো বসানো অন্য জিনিস। বিশাল লোগো বা বার বার ব্র্যান্ডের নাম লাগানো স্নিকার্স মার্জিত ফ্যাশনের অন্তর্গত নয় বলেই দাবি ফ্যাশনপ্রেমীদের। যদিও এমন কিছু ডিজ়াইনার ব্র্যান্ড রয়েছে, যাদের বাহুল্যবর্জিত ছোট লোগো জুতোয় অন্য মাত্রা এনে দেয়।

স্নিকার্সে লোগোর বাড়বাড়ন্ত। ছবি: সংগৃহীত।
৪. অপরিচ্ছন্ন স্নিকার্স
ব্র্যান্ড, ফ্যাশন সব কিছুর আগে জুতো পরিষ্কার রাখাটা দরকারি। নোংরা, ক্ষতবিক্ষত বা জীর্ণ স্নিকার্স আপনার গোটা সাজ নষ্ট করে দিতে পারে। সাদা স্নিকার্স নোংরা হয়ে গেলে তা রাস্তায় পরে বেরোলে খুব খারাপ দেখাবে। অন্যান্য রঙের ক্ষেত্রেও এক নিয়ম খাটে। গাঢ় রঙের উপরেও ধুলোময়লা স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়। তাই যে কোনও জুতো নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। যদি দেখেন, যতই পরিষ্কার করুন না কেন, আগের রং আর ফিরছে না, তা হলে বুঝতে হবে সেই জুতোকে বিদায় দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে।

অপরিচ্ছন্ন স্নিকার্স। ছবি: সংগৃহীত।
৫. চোখ ধাঁধানো রঙের স্নিকার্স
উজ্জ্বল নিয়ন রং এবং অতিরিক্ত ঝলমলে ডিজ়াইন করা জুতো মার্জিত সাজের সঙ্গে মানায় না। যদি বা কিছু পার্টিতে তা ভাল লাগতে পারে, কিন্তু রোজের সাজপোশাকের জন্য এগুলি বড্ড বেমানান। তবে এখন কেউ কেউ ফ্যাশনে সাহসী হওয়ার জন্য এমন জুতো পরছেন, যেমন রণবীর সিংহ, কর্ণ জোহর। তবে সব জায়গায় বা সবাইকে এই ধরনের জুতো মানায় না। এ সমস্ত রঙের বদলে সাদা, কালো, গাঢ় নীল, এমনকি লাল রংও স্নিকার্সে ভাল মানায়।

চোখ ধাঁধানো রঙের স্নিকার্স। ছবি: সংগৃহীত।
আপনি যদি ফ্যাশনপ্রেমী হন, কী কী পরবেন, তা জানার আগে কী কী পরবেন না, তা জেনে নেওয়া উচিত। যে মুহূর্তে বাদ দিয়ে ফেলতে পারবেন, সাজগোজের ব্যাকরণ সহজ হয়ে যাবে।