ব্রণ কমবে কিসে? ছবি: সংগৃহীত।
বয়ঃসন্ধির সময়ে হরমোনের হেরফেরে ছেলেমেয়েদের মুখে প্রায়ই ব্রণ হয়। তবে, ব্রণ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। কম বয়সে যেমন ব্রণ হয়, তেমন বেশি বয়সেও ব্রণ হতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি, রোজ রোজ রেস্তরাঁর তেলমশলাদার খাবার খাওয়ার প্রবণতা, নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা না করার কারণেও ব্রণ হয়। তবে, হরমোনের হেরফেরে যদি ব্রণ হয়, তা শুধু বাইরে থেকে পরিচর্যা করে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। তার জন্যে কী কী করতে হবে?
১) ত্বকের যত্ন নিন:
মুখে ব্রণর দাপট নিয়ন্ত্রণ করার প্রথম শর্ত হল মুখ পরিষ্কার রাখা। তার জন্য নিয়মিত মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। সঙ্গে টোনার এবং ময়েশ্চারাইজ়ারও ব্যবহার করা প্রয়োজন। মুখে বাড়তি তেল বা সেবাম থেকে ব্রণর সমস্যা বেড়ে যায়। তাই দিনে যত বার এই নিয়ম মেনে চলতে পারবেন, তত ভাল।
২) মানসিক চাপ:
মানসিক চাপ বাড়তে থাকলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে হরমোনের উপর। তাই পরোক্ষ ভাবে হলেও মুখে ব্রণর উৎপাত বেড়ে যাওয়ার পিছনে উদ্বেগ বা মানসিক চাপের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ঘরে-বাইরে নিত্য দিন বাড়তে থাকা এই চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ধ্যান, প্রাণায়াম কিংবা মেডিটেশন অভ্যাস করতে পারেন।
৩) প্রসাধনী:
ভাল সংস্থার কিংবা দামি প্রসাধনী বলেই যা খুশি মুখে মেখে ফেলা উচিত নয়। সব ধরনের প্রসাধনী কিন্তু সকলের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী তো কিনবেনই, কী কী উপাদান দিয়ে সেই প্রসাধনী তৈরি হয়েছে, তা-ও দেখে নেবেন।
৪) পর্যাপ্ত জল না খাওয়া:
ত্বকের জেল্লাই বলুন, কিংবা ব্রণর সমস্যা— শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে না পারলে কিছুই হবে না। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার করতে হলে রোজ অন্ততপক্ষে আড়াই থেকে ৩ লিটার জল খেতেই হবে।
৫) কম ঘুমোচ্ছেন না তো?
কাজের চাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবটা সামাল দিতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কোপ পড়েছে ঘুমের সময়ের উপর। তৎক্ষণাৎ তার প্রভাব চোখে না পড়লেও অপর্যাপ্ত ঘুম কিন্তু হরমোনের উপরেও প্রভাব ফেলে। তাই রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা না ঘুমোলে কিন্তু সমস্যা বাড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy