কৃত্রিম রঙে কী কী ক্ষতির আশঙ্কা আছে? ছবি: ফ্রিপিক।
পাকা চুল ঢাকতে নিয়মিত রং করান? পুজো আসছে। এখন পার্লারগুলিতে চুলে রং করানোর হিড়িক পড়ে যাবে। কিন্তু জানেন কি, বাজারচলতি হেয়ার কালারগুলিতে এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে যা শরীরের জন্য বিষ। এমনটাই দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। বেঙ্গালুরুর গ্লেনেগেলস হাসপাতালের ত্বক চিকিৎসক রুবি সচদেব দাবি করেছেন, কৃত্রিম রংগুলিতে যে রাসায়নিক থাকে তা চুলের স্বাভাবিক রঙ পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। কমতে থাকে চুলের গোড়া থাকায় মেলানিন। কৃত্রিম রঙে থাকা ভারী ধাতু ও রাসায়নিক উপাদান মাথার ত্বকে ঢুকে গিয়ে বিভিন্ন রকম রোগের কারণ হয়ে ওঠে।
কেবল পাকা চুল ঢাকতে যে চুলে রং করানো হয় তা নয়। এখনকার কমবয়সি ছেলেমেয়েরা শখেও চুলে রং করান। রুবি বলছেন, হেয়ার কালারে থাকে অ্যামোনিয়া, পাইরক্সাইডের মতো রাসায়নিক যা চুলের সঙ্গে মিশে মানুষের শরীরে ঢুকে যায়। তাতেই ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চুলে নিয়মিত রং করান যে মহিলারা তাঁদের স্তন ক্যানসার, ত্বকের ক্যনসারের ঝুঁকিও বাড়ে বলে দাবি ত্বক চিকিৎসকের।
কী কী রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে কৃত্রিম রঙে?
চুলের রঙে থাকে অ্যামোনিয়া যা বেশিমাত্রায় মাথার ত্বকে ঢুকলে তালুতে সংক্রমণ, চুলকানি, র্যাশ হতে পারে। অ্যামোনিয়া থেকে সোরিয়াসিসের মতো মারাত্মক ত্বকের অসুখও হতে পারে। আবার এই রাসায়নিক বেশি শরীরে ঢুকলে তার থেকে শ্বাসজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
কৃত্রিম রঙে আরও এক ধরনের রাসায়নিক থাকে যার নাম প্যারা-ফিনাইলএনেডিয়ামিন যা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
রিসরসিনল নামে আর এক ধরনের রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে চুলের রঙে যা বেশিমাত্রায় শরীরে গেলে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে।
রং দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য পারক্সাইড নামে এমন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের অসুখের কারণ হতে পারে। এই রাসায়নিকের মাত্রা কমালেই যে বিপদ এড়ানো যাবে তা নয়। তা হলে চুলে রঙই ধরবে না। বার বার রং করাতে হবে।
রুবির কথায়, এই সব রাসায়নিক ক্যানসারেরও ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তা ছাড়া দিনের পর দিন রাসায়নিক মেশানো রং চুলে লাগালে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাবে, চুল পড়ার সমস্যা আরও বাড়বে। চুলের প্রাকৃতিক রঙই নষ্ট হয়ে যাবে এক সময়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy