অনেক সময় ধরে নিখুঁত করে আইলাইনার আঁকলেন, অথচ ঘণ্টাদুয়েক যেতে না যেতেই সব ঘেঁটে গেল। এমন হলে সত্যিই বিরক্তি লাগে। আবার এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা ঠিকমতো আইলাইনার পরতে পারেন না। পরার সময়ে হাত কাঁপে। পুজোর সাজ নিখুঁত করতে চোখের রূপটান ঠিকমতো হওয়া জরুরি। চোখের উপরের পাতা বরাবর নিপুণ টান না দিলে দেখতে ভাল লাগবে না। এখন আবার রঙিন আইলাইনারেরও চল হয়েছে। কাজেই আইলাইনার পরার কিছু কৌশল জেনে রাখা ভাল।
আইলাইনার কী ভাবে পরবেন?
যদি লাইনার দিয়ে বড় উইং তৈরি করতে চান, তবে আগে পেনসিল লাইনার দিয়ে পছন্দের আকৃতি এঁকে নিন। তার পরে ভিতরে লাইনার ভরুন।
কাজল ও আইলাইনার পরার আগে চোখের পাশের অংশে ভাল করে সিসি ক্রিম লাগিয়ে নিন। এগুলি চোখের চারপাশের অতিরিক্ত তেল ও আর্দ্রতা শুষে নেয়। যে দিন কাজল বা আইলাইনার পরবেন, সে দিন সাজগোজের বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে একটু বরফের কুচি কোনও সুতির কাপড়ে মুড়ে চোখের চারপাশে চেপে মাসাজ করুন। ত্বকের তেলা ভাব কাটবে।
প্রাইমার লাগানোর পর চোখের উপরের পাতায় হালকা ম্যাট ফাউন্ডেশন পরে নিন। ম্যাট ফাউন্ডেশন ত্বকের সঙ্গে ভালভাবে বসে যায়। ফলে চোখের মেকআপ সহজে ঘেঁটে যাবে না।
আরও পড়ুন:
চোখের ভিতরের কোণ থেকে শুরু না করে, চোখের পাতার মাঝখান থেকে আইলাইনার লাগানো শুরু করুন। এ রপর বাইরের কোণের দিকে লাইন টানুন এবং শেষে ভেতরের কোণের দিকে যোগ করে দিন।
একবারে লম্বা লাইন না টেনে ছোট ছোট স্ট্রোকে লাইন টানুন। এতে লাইনার আঁকাবাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
চোখের মেকআপ শেষ হলে আইশ্যাডো ব্রাশে সামান্য ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার নিয়ে হালকা করে চোখের উপর বুলিয়ে নিন। এতে চোখের রূপটান দীর্ঘ ক্ষণ স্থায়ী হবে।
রঙিন আইলাইনার পরতে হলে
চোখ আঁকার আগে বাদামি আই ব্রো পেনসিল দিয়ে নিখুঁত করে ভ্রূ এঁকে নিন। চোখের উপরের আর নীচের পাতা বরাবর ইলেকট্রিক ব্লু শেডের আই পেনসিল দিয়ে সুন্দর করে লাইনার পরে নিন। একটু মোটা করে পরবেন যাতে রংটা পরিষ্কার বোঝা যায়।
রঙিন আইলাইনার পরলে তার সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের আইশ্যাডোও লাগাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একদম বিপরীত টোনের মাস্কারা পরতে হবে। যেমন আকাশি রঙের আইশ্যাডো হলে গাঢ় নীল মাস্কারা থাকবে চোখের পলকে।
যদি চোখের উপরে ঘন নীল বা রঙিন আইলাইনার পরতে না চান, তা হলে নীচের পাতা বরাবর রঙিন আইলাইনারের টান দিন। চোখের কোণা সামান্য উইং করে দিলে দেখতে অন্যরকম লাগবে।