স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজনের কারও কারও দিন এখন শুরু হয় চিয়া ভেজানো জল খেয়ে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, জ়িঙ্ক, বায়োটিন পূর্ণ চিয়া বীজ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। উচ্চ মাত্রায় ফাইবার থাকায় হজমে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। ওজন কমাতেও বীজটি কার্যকর।
তবে শুধু শরীর নয়, চিয়া বীজের দৌলতে ধীরে ধীরে ত্বকেও ফিরতে পারে লাবণ্য। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে, ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে চিয়া ভেজানো জল।
ত্বকের বর্ম: চিয়া বীজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ত্বকের বর্ম হিসাবে কাজ করে। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের ফলে শরীর তৈরি হয় ফ্রি র্যাডিক্যাল। এই র্যাডিকালই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে। যার ফলে শরীরের ক্ষতি হয়। ত্বক লাবণ্য হারায়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড: চিয়া বীজে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বলে চিহ্নিত। ত্বকের জেল্লা কিন্তু আসে ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকেই।
টক্সিন বার করে: ফাইবার থাকায় চিয়াভেজানো জল খেলে পেট পরিষ্কার হয়। তা ছাড়া শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতেও সাহায্য করে চিয়া-জল।
ব্রণ: চিয়া বীজে জ়িঙ্ক থাকে। ত্বক এবং চুলের জন্য এটি জরুরি উপাদান। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রেখে জ়িঙ্ক ব্রণ হওয়া রুখতে সাহায্য করে।
আর্দ্রতা: চিয়াবীজ প্রচুর জল টেনে নয় এবং তা ধরেও রাখে। ফলে চিয়াভেজানো জল খেলে শরীরেও জল যায়। সেই জলের ফলেই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।