পিৎজ়া, পাস্তা দিলে নিমেষেই খাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু ভাত-রুটি দিলে মুখে নিয়ে বসে থাকে। সব্জি দেখতে পেলেই বেছে নিয়ে ফেলে দেয়। বাড়ির খুদে সদস্যটির এমন আচরণে কি নাজেহাল?
মনোবিদেরা বলেন, শিশুকে ধমকে-মেরে যে কাজ হয় না, সেই কাজই হয় কৌশলে। ছোট হলেও দেখনদারি, স্বাদ বিচার তাদেরও কিছু কম নয়। কোন খাবার খাওয়ার ইচ্ছাই তৈরি হয় পরিবেশনের উপরে। তা ছাড়া পছন্দের খাবারের মোড়কে যদি সব্জি ভরে দেওয়া যায়— তা হলেও কাজ হাসিল হতে পারে।
সবুজ পাস্তা
পাস্তার সসে সব্জি সেদ্ধ করে বেটে দিতে পারেন। পেঁয়াজ, রসুনকুচি, ব্রকোলি, পালং একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে নিন। কড়াইয়ে মাখন দিয়ে মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। যোগ করুন স্বাদমতো নুন এবং একটু দুধ। মিশ্রণটি ভাল করে ফুটে গেলে সেদ্ধ পাস্তা দিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক রান্না করে নিন। উপর থেকে গ্রেট করা চিজ় দিন। লোভনীয় খাবারের আড়ালেই যে সব্জি থাকবে, বুঝবে না খুদে। ময়দা দিয়ে তৈরি পাস্তা নিয়মিত খাওয়া ভাল নয়। বদলে আটা বা মিলেটের পাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।
পনিরের মোড়কে সব্জির কবাব
সব্জি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন কবাব। ছবি :সংগৃহীত।
ভাজাভুজি পেলে সোনামুখ করে খেয়ে নেয় ছোটরা। সেই সুযোগটিও কাজে লাগাতে পারেন মায়েরা। পনির গ্রেট করে তার সঙ্গে ঝিরিঝিরি করে কাটা গাজর, পেঁয়াজ, ধনেপাতা মিশিয়ে নিন। স্বাদমতো নুন, ধনেগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, গোমরিচ দিয়ে মিশ্রণটি মাখুন। তার পর ননস্টিক কড়াইয়ে তেল ব্রাশ করে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিন। ভাত-রুটি খেতে না চাইলে এ রকম কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারও তাদের দেওয়া যায়।
রুটিতে সব্জি
রঙিন রুটি দেখলে খুদে আগ্রহী হবে। মেথিশাক, পালংশাক কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। আটা মাখার সময়ে সেগুলি মিশিয়ে মাখুন। বিট, গাজর সেদ্ধ করে বেটে নিয়ে আটার সঙ্গে মেখে নিন। সবুজ, লাল রুটি-পরোটা কিন্তু ছোটরা আগ্রহের সঙ্গেই খেতে চাইবে।