গাঢ় রঙের লিপস্টিক চড়া করে লাগালে ঠোঁট শুষ্ক হবেই। যাঁদের এমনিতেই ত্বকের ধরন শুষ্ক, অল্পেই খসখসে হয়ে যায়, তাঁদের আরও বড় জ্বালা। শীত আসার আগে থেকেই ফেটে চৌচির হতে থাকে ঠোঁট। ক্রিম মেখেও লাভ হয় না তেমন। শুষ্ক ঠোঁটে লিপস্টিক পরাও দায়। মরসুম বদলের সময়ে কারও কারও আবার ঠোঁটের দু’কোণেও চিড় ধরে। এই ধরনের সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘লিপ-লিকিং ডার্মাটাইটিস’ বলা হয়। ঠোঁট ফাটার সমস্যা নিয়ে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের কিছু উপায় জেনে রাখা জরুরি।
ঠোঁটের চামড়া শুষ্ক হয় খুব তাড়াতাড়ি। বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকলে, ঠোঁট তার স্বাভাবিক নমনীয়তা হারায়। তখনই ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠতে শুরু করে। ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি ঠোঁটের যত্ন না নিলে, শীতের সময়ে তা আরও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে উপরের পাতলা চামড়া উঠে গিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটার কারণে ঠোঁটের কোণাতেও চিড় ধরে। হাসতে, কথা বলতে বা কিছু খেতে গেলেও ব্যথা করে।
ফাটা ঠোঁট পেলব করার উপায়
কৃত্রিম বর্ণ-গন্ধ বিহীন লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ঠোঁট বাঁচাতে লিপ বামে ‘এসপিএফ’ দেওয়া থাকলে ভাল হয়।
আর্দ্রতা ধরে রাখতে গেলে আগে ঠোঁটের উপর থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে হবে। বাড়ি ফিরে ঠোঁট থেকে লিপস্টিকের রং মুছে ফেলতে অ্যালো ভেরা-যুক্ত মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করুন। চিনি গুঁড়োর সঙ্গে মধু মিশিয়ে এক্সফোলিয়েট করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
রাতে শোয়ার আগে ভাল করে মধু লাগিয়ে রাখুন ঠোঁটে। সকালে দেখবেন ঠোঁট নরম ও মসৃণ হয়ে গিয়েছে।
এক চামচ ঘিয়ের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ রাতে শোয়ার আগে ভাল করে ঠোঁটে মালিশ করে নিন। এতে ঠোঁটের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে আসবে ও ঠোঁট পেলব হয়ে উঠবে।
আধ কাপ দুধে ৫-৬টি গোলাপের পাপড়ি সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে দুধ থেকে পাপড়ি ছেঁকে নিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি ঠোঁটে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে দিন। প্রতি রাতে এই রুটিন মেনে চললে ঠোঁট আর্দ্র থাকবে। ফাটা ঠোঁটের সমস্যা হবেই না।
এক চামচ অ্যালো ভেরা জেল এবং এক চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তার পর অল্প ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলকাতার মতো শীতে অ্যালো ভেরা এবং মধু উভয়ই ঠোঁটকে আর্দ্র করে তুলবে।
মধুর সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে রাখুন। রাতে এই মিশ্রণ ঠোঁটে মেখে তার পর ঘুমোতে যান। এতে ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।