বর্ষার মরসুমে শুধু ত্বক নয় মাথার ত্বকেও সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তার কারণ, রোদ উঠলেই ভ্যাপসা গরম। পরক্ষণেই বৃষ্টি। তাতেই বৃদ্ধি পায় আর্দ্রতা। এমন আবহে কারও যেমন খুশকির সমস্যা বাড়ে, তেমনই মাথার ত্বকে সংক্রমণও হয়। তা ছাড়া, ঘাম-ময়লা একসঙ্গে বসলে চুলকাতে থাকে মাথা।
চুল নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে, সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বেই। তবে ২-৩ দিন অন্তর শ্যাম্পু করেও কারও কারও সমস্যার সমাধান হয় না। চুলকাতে থাকে মাথা। তা ছাড়া খুশকিও কমে না। তারই জন্য দরকার চুলের মাস্ক। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই চুলের পরিচর্যা করা যায়। তার গুণাগুণও কিছু কম নয়। বর্ষায় চুলের জন্য কী ভাবে বানাবেন মাস্ক?
গ্রিন টি এবং পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল: গ্রিন টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের প্রভাবে মাথার ত্বকের কোষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুলের ক্ষতি হয় এতে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এই স্ট্রেস থেকে চুলকে রক্ষা করে। পেপারমিন্ট অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। চুলকানি, জ্বালা, ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিরোধে তাই এই তেল কার্যকর। দুই উপকরণের গুণে তাই খুশকি বা মাথার ত্বকের সংক্রমণ দূর হতে পারে।
আরও পড়ুন:
দই, মধু, পাতিলেবুর মাস্ক: দইয়ে রয়েছে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। পাতিলেবুতে মেলে সাইট্রিক অ্যাসিড। মাথার ত্বকের পিএইচ-এর সমতা রাখার জন্য এই উপাদানগুলি কাজ আসে। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবে কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর মাথার ত্বক থেকে চুলে ভাল করে মিশ্রণটি মাখতে হবে। ১৫-২০ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবু এবং মেথি: চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় মেথি খুব উপকারী। খুশকি বা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে মেথির প্রাকৃতিক গুণ। রাতভর মেথিদানা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সেটি মিক্সিতে ঘুরিয়ে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথায় মাখুন। মিনিট ১৫-২০ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। মেথি এবং পাতিলেবুর রস ক্রমাগত মাথা চুলকানোর অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেবে। চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। প্রতিটি প্রাকৃতিক উপাদানের নিজস্ব গুণ আছে। তবে যে কোনও মাস্ক ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি। হাতের কোনও অংশে তা বেশ কিছু ক্ষণের জন্য লাগিয়ে রাখুন। জ্বালা, চুলকানি না হলে তবেই সেটি প্রথম বার মাথায় মাখুন।