চুলের যতই যত্ন নিন না কেন, দীপাবলির সময়ে বাজির ধোঁয়া, দূষণে চুলের দফারফা হবেই। আরও রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে চুল। প্রসাধনী বা হেয়ার জেলে সমস্যার সমাধান তো হবেই না, উল্টে বাতাসে ভাসমান রাসায়নিক ও প্রসাধনীর রাসায়নিক মিলে ক্ষতির বহর বাড়বে। তাই এই সময়ে কেশচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন তিসি। এই বীজ খেলে উপকার হয় বেশি, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। তবে চুলের জন্যও ভাল। তিসির বীজ থেকেই তৈরি করা যায় হেয়ার জেল, যা যে কোনও বাজারজলতি জেলের চেয়ে ভাল।
কেন চুলের জন্য ভাল তিসি?
১) তিসিতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। উদ্ভিজ্জ আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
২) ভিটামিন বি-র প্রাকৃতিক উৎস হল তিসি। চুল মজবুত করতে এবং চুলের জেল্লা ধরে রাখতে ভিটামিন বি-র যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
৩) চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করেন অনেকে। ভিটামিন ই-এর প্রাকৃতিক উৎসই হল তিসি।
আরও পড়ুন:
তিসির জেল কী ভাবে বানাবেন?
গোটা তিসির বীজ ব্যবহার করতে হবে। অনেকটা জেল বানিয়ে রাখতে আধ কাপের মতো তিসির বীজ নিয়ে নিন।
জল আড়াই থেকে তিন কাপ নিতে হবে।
এর সঙ্গে এক চামচ ভিটামিন ই তেল বা ৫-১০ ফোঁটা রোজ়মেরি মেশাতে পারেন।
প্রথমে একটি সসপ্যানে তিসির বীজ এবং জল নিন। মাঝারি আঁচে বীজ সেদ্ধ হতে দিন। জল ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিন এবং নাড়তে থাকুন। ধীরে ধীরে জল ঘন হয়ে জেলির মতো হবে। স্বচ্ছ আঠালো তরল তৈরি হলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। একটি পরিষ্কার পাতলা সুতির কাপড়ে ছেঁকে নিন। জেলটি পুরোপুরি ঠান্ডা হতে দিন। তার পর এতে ভিটামিন-ই তেল বা রোজ়মেরি মেশাতে পারেন।
ব্যবহারের পদ্ধতি
শ্যাম্পু করার আগে তিসির জেল মাথায় মালিশ করে রাখুন আধ ঘণ্টার মতো। তার পর ধুয়ে ফেলুন।
এর সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়েও মাখতে পারেন। যাঁদের চুল খুব রুক্ষ হয়ে উঠেছে, তাঁরা এই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
হেয়ার মাস্ক হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সঙ্গে সামান্য রোজ়মেরি বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করে নিন। সকালে ধুয়ে ফেলবেন।