সকালে উঠে বরফজলে মুখ ডোবানো, বরফের টুকরো গালে ঘষা, সমাজমাধ্যমের ভিডিয়ো থেকে তারকাদের রুটিনে এই টোটকা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে সকাল সকাল ত্বক টানটান হয়, ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। কিন্তু শুধু জলের উপর ভরসা না করে এই বরফের টুকরোকে আরও উপকারী বানিয়ে তুলতে পারেন ছোট্ট কৌশলে।
সৌন্দর্যের যত প্রাকৃতিক উপকরণ, তার ভান্ডারে অ্যালোভেরার নাম সব সময়ই প্রথম সারিতে। এ বার সেই অ্যালোভেরার ব্যবহার আরও সহজ এবং কার্যকর করে ফেলতে পারেন। অ্যালোভেরা মেশানো বরফের টুকরো। গরমে যেমন বরফ শরীরকে প্রশান্তি দেয়, তেমনই এই বিশেষ ‘আইস কিউব’ ত্বকে তাৎক্ষণিক সতেজতা এনে দেবে।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে অ্যালোভেরার আইস কিউব বানাবেন ঘরে?
১. অ্যালোভেরা গাছ থেকে টাটকা জেল সংগ্রহ করুন।
২. বরফ তৈরির ট্রে পরিষ্কার করে তাতে ওই জেল ঢেলে ফেলুন।
৩. ইচ্ছে হলে সঙ্গে সামান্য গোলাপজল বা শশার রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪. রাতভর ফ্রিজে রেখে দিন। সকালে আপনার বরফের টুকরো প্রস্তুত।
বরফের টুকরোকে আরও উপকারী বানিয়ে তুলতে পারেন। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
অ্যালোভেরার আইস কিউবের উপকারিতা কী?
· চোখের তলার ফোলা ভাব ও কালচে দাগ কমায়। বরফের ঠান্ডা ছোঁয়া রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে চোখের নীচের ক্লান্তি দূর হয়।
· ত্বককে রাখে সতেজ। গরমে বা রোদ থেকে ফিরে মুখে ঘষলে ত্বক পায় তাৎক্ষণিক শীতলতা।
· সূর্যের তাপপ্রবাহের ক্ষতিকারক প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। লালচে ভাবও কমে যায়।
· থ্রেডিং বা ওয়্যাক্সিংয়ের পর জ্বালা ও লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে।
· প্রাকৃতিক প্রাইমার হিসেবে কাজ করে অনেক ক্ষেত্রে। মেকআপের আগে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ হয়, ফাউন্ডেশনও ভাল ভাবে বসতে পারে।
· ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে, কারণ অ্যালোভেরায় জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। আর ঠান্ডায় ব্রণ ও র্যাশ খানিক নিয়ন্ত্রণে থাকে।
খুব সহজেই ঘরে তৈরি করা যায় এই অ্যালোভেরা মেশানো বরফের টুকরো। এতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে না। ত্বককে সতেজ করে তুলতে, জেল্লা ফিরিয়ে আনতে প্রাকৃতিক এই উপাদান খুব কার্যকরী।