ত্বকের পরিচর্যায় রোজই নিত্যনতুন উপাদানের নাম শোনা যায়। তবে রূপচর্চায় গোলাপ একেবারেই নতুন নয়। বহু প্রাচীন কালেও রানিদের স্নানের জন্য তাঁর সখীরা দুধে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখতেন। ত্বকচর্চায় গোলাপজলের ভূমিকাও কম নয়। তবে গোলাপের তেলের কথা শুনেছেন কি? রাজা-রানিদের ত্বকের পরিচর্যায় গোলাপের তেলের ব্যবহারও কিন্তু হয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। শোনা যায়, ব্রিটেনের যুবরানি ডায়ানা নিজের ত্বক চর্চার জন্য ব্যবহার করতেন গোলাপের তেল আর অ্যাভোকাডো মাস্ক। ডায়ানার সৌন্দর্য্যের কথা কারও অজানা নয়। চাইলে আপনিও নিজের ত্বক পরিচর্যায় ডায়ানার টোটকা ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপের তেল কেন উপকারী?
রূপচর্চাশিল্পীরা বলছেন গোলাপের তেল ত্বকে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। গোলাপের তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কোষের তন্তুতে প্রবেশ করে ত্বকে টানটান ভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বক অনেক বেশি নবীন দেখায়।
কী ভাবে বানাবেন গোলাপের তেল?
একটি সসপ্যানে ইঞ্চিখানেক মাপের জল নিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এ বার একটি কাচের পাত্রে ভাল মানের অলিভ অয়েল অথবা জোজোবা অয়েল নিয়ে তাতে গোলাপের পাপড়ি থেঁতো করে ভিজিয়ে দিন। কাচের পাত্রের মুখ ঢেকে পাত্রটিকে গরম জলের পাত্রে ডুবিয়ে রাখুন। ২৪ ঘণ্টা গরম উষ্ণ গরম জলেই রাখতে হবে কাজের পাত্রটিকে। দরকার হলে বার বার জল বদলে দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পরে একটি ছাঁকনির সাহায্যে তেল ছেঁকে নিন। ওই তেল কোনও গাঢ় রঙের বোতলে ঢেলে রাখুন। রোদে বা গরম জায়গায় রাখবেন না।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?
রাতে শুতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে মুখে হালকা হাতে মাসাজ করুন। অথবা মধু কিংবা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট ২০ রেখে ঈষদোষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হাতে প্যাচ টেস্ট করে নেবেন। কোনও রকম অস্বস্তি না হলে তবেই মুখে মাখুন গোলাপের তেল।