Advertisement
E-Paper

শ্যাম্পু করছেন, কন্ডিশনার মাখছেন! তবু কোকঁড়ানো চুলের জট ছাড়াতে কালঘাম ছুটছে কেন?

কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী যেমন আলাদা হয়, তেমনই পরিচর্যা করার ধরনও ভিন্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৪
Curly Hair

চুল খোলা রাখলে শ্যাম্পু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

কোঁকড়ানো চুল মোটে পছন্দ করেন না। কেন?

আঁচড়াতে গেলেই ছিঁড়ে যায়। সহজে জট ছাড়ানো যায় না। চুল খোলা রাখলে শ্যাম্পু করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। কোনও মতেই তাকে আয়ত্তে রাখা যায় না। অনেকেই শ্যাম্পু করার আগে মাথায় তেল মাখার পরামর্শ দেন। তাতেও যে খুব একটা কাজ হয়, তা নয়। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলের ধরন অনুযায়ী প্রসাধনী যেমন আলাদা হয়, তেমন পরিচর্যা করার ধরনও ভিন্ন। অর্থাৎ, সোজা বা ঢেউখেলানো চুলে যে ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে, তা কোকঁড়ানো চুলের জন্য উপযুক্ত নয়। আবার, সোজা বা ঢেউখেলানো চুলে সপ্তাহে যত বার শ্যাম্পু করা যায়, কোঁকড়ানো চুলে তা সম্ভব নয়।

১) ধোয়ার নিয়ম জানেন?

কোঁকড়ানো চুল বেশি বার ধোয়া যাবে না। তাতে মাথার ত্বকের নিজস্ব তেল ধুয়ে যায়। চুল আরও বেশি রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে পড়ে। পাতলা, নরম চুলের মতো এক দিন অন্তর কোঁকড়ানো চুলে শ্যাম্পু করা যায় না। মাথার ত্বক খুব নোংরা না হলে দু’সপ্তাহ অন্তর শ্যাম্পু করা যেতে পারে। চুল খুব ঘন হলে ভাগ ভাগ করে শ্যাম্পু করা যেতে পারে। তাতে চুলে জট পড়ার পরিমাণ কমবে।

২) সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তো?

বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বেছে নিতে না পারলে চুলের ক্ষতি হবে। কোকঁড়ানো চুলের জন্য জেল কিংবা অয়েল বেস্‌ড শ্যাম্পু ভাল। তাতে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। যে দিন শ্যাম্পু করছেন না, সে দিন চুলে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

৩) কন্ডিশনার সঠিক হওয়া চাই:

কোঁকড়ানো চুলের জন্য একটু বেশি ঘনত্বযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। মাথার ত্বক বাদ দিয়ে শুধু চুলের দৈর্ঘ্যে কন্ডিশনার মেখে রাখতে হবে। মিনিট পাঁচেক পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তার পর চুল আধশুকনো করে লিভ-ইন কন্ডিশনারও মেখে রাখতে পারেন। আর্গন অয়েল, গ্লিসারিন-যুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভাল।

৪) মাথার ত্বকের যত্ন নিচ্ছেন?

দীর্ঘ দিন শ্যাম্পু না করলে মাথার ত্বক তেলতেলে হয়ে পড়ে। খুশকির বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সুরাহা মিলতে পারে অ্যান্টি-ড্যানড্রফ বা খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহারে। কিন্তু এই ধরনের শ্যাম্পু আবার চুল শুষ্ক করে দেয়। তাই চুলের দৈর্ঘ্যে আবার হাইড্রেটিং শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

৫) রোদ থেকে সুরক্ষা:

চুলে সরাসরি রোদ লাগলেও ক্ষতি হতে পারে। কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে সমস্যাটা আরও বেশি। তাই চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিবেগনি রশ্মি থেকে চুলের ক্ষতি রুখতে টুপি, স্কার্ফ, ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।

Dry Hair Frizzy Hair Damaged Hair Tangle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy