গরমকাল হোক কিংবা শীতকাল সর্বদাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন রূপবিশেষজ্ঞরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত দূষণ ও কড়া রোদের তাপে ত্বকের বারোটা বাজছে। তার উপর যদি সানস্ক্রিন না লাগান, তা হলে ত্বকের আরও ক্ষতি হতে পারে। সারা ক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে মুখের ত্বক একটুতেই বেশি ঘেমে যায়। তার উপর অনেকেরই সানস্ক্রিন মাখলে তীব্র ঘাম হয়। তাই ত্বক পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকলেও সানস্ক্রিন মাখতে চান না কেউ কেউ। আবার অনেকে ঘামের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার তৈরি সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। তাতেও বিশেষ সুফল মেলে না।
সানস্ক্রিনের ‘সান প্রিভেনটিভ ফ্যাক্টর’ বা এসপিএফ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। তাই গরমকাল হোক কিংবা শীতকাল সর্বদাই সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন রূপবিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বাড়িতে থাকুন বা বাইরে, দিনের বেলা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ভীষণ জরুরি।
সানস্ক্রিনের ব্যবহারের সময় কিছু নিয়ম মেনে চললেই ঘামের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি। রইল তারই হদিশ।
১) সানস্ক্রিন কেনার সময় নির্দিষ্ট এসপিএফ কত তা দেখে নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন, বেশি এসপিএফ মানেই বোধহয় বেশি সূর্যালোক রোধ করে। এই ধারণা ভুল। সাধারণত, নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে তবেই এসপিএফ বাছা উচিত। আমাদের রাজ্যের সার্বিক যা তাপমাত্রা, তাতে এসপিএফ ৩০-৩৫ যথেষ্ট। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে তবেই সানস্ক্রিন কিনুন, তবেই ঘাম কম হবে। বাইরে বেরোনোর মিনিট ১৫ আগেই সানস্ক্রিন মেখে ফেলুন।
২) সানস্ক্রিন মাখার আগে অবশ্যই তাতে সামান্য জল মিশিয়ে নিতে পারেন। সানস্ক্রিনের সঙ্গে জলের এই মিশ্রণ ভাল করে মেখে নিন শরীরে। জল শরীরের রোমকূপকে ঠান্ডা রাখবে, আবার সানস্ক্রিনের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের ঘনত্বকেও জল অনেকটা লঘু করে দেবে। ফলে ঘাম কম হবে।
৩) ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে খুব বেশি ঘাম হয়। সে ক্ষেত্রে সোয়েট ফ্রি কিংবা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে সানস্ক্রিন জেল বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। সূর্যের তাপ থেকে ত্বক রক্ষাও পাবে, আর ঘামও হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy