দূর থেকে দেখা যায় না বটে, কিন্তু অদৃশ্যও নয়। নাক, কপাল এবং মুখের যে যে জায়গায় সেবাম জমে ত্বকের রন্ধ্রমুখ বন্ধ হয়ে যায়, সেই সেই জায়গাতেই দেখা যায় ব্ল্যাক হেড্স। খুব ছোট্ট ছোট্ট কালো রোমের মতো দেখতে। স্ক্রাব বা ক্রিম দিয়ে ঘষাঘষিতে তা কিন্তু মোটেই বেরোয় না। সাধারণত, সালোঁতে গিয়েই ব্ল্যাকহেড্স তোলা হয়। তবে, কৌশল জানলে, বাড়িতেই তা তুলে ফেলা সম্ভব।
কেন হয় ব্ল্যাকহেড্স?
ত্বকে সূক্ষ সূক্ষ রন্ধ্র থাকে। কোনও কারণে সেই রন্ধ্রে ময়লা, তেল বা মৃত কোষ জমলে, এই সমস্যা দেখা দেয়। রন্ধ্রের মধ্যে কালো বিন্দুর মতো ব্ল্যাকহেড্স তৈরি হয়।
পরিষ্কারের কৌশল
এ জন্য লাগবে পরিষ্কার তোয়ালে, গরম জল।
পদ্ধতি: প্রথমে মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তার পর গরম জলের ভাপ নিতে হবে। তোয়ালে ভিজিয়ে জল নিংড়ে সেটিও মুখ বা শুধুই যে অংশে ব্ল্যাকহেড্স রয়েছে, তার উপর চেপে ধরতে পারেন। গরম ভাপের স্পর্শে রন্ধ্রগুলি উন্মুক্ত হবে। নরম হয়ে যাবে ব্ল্যাকহেড্স। এই অবস্থায় তোয়ালে দিয়ে আলতো চাপে ঘষাঘষি করলেই অংশটি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটি এক্সফোলিয়েশন বা মৃত কোষ, ময়লা ঝরাতে সাহায্য করবে। তবে তোয়ালে দিয়ে চেপে মুখ বা নাক ঘষা যাবে না। তা হলে কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
একেবারে শেষে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে, যাতে ত্বক উজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখায়।
ব্ল্যাকহেড্স এড়ানোর উপায়
এক্সফোলিয়েশন: ফেসওয়াশ দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কারের পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন স্ক্রাবিং করা জরুরি। এক্সফোলিয়েশন ব্ল্যাকহেড্স তৈরির সম্ভাবনা কমায়।
পরিচ্ছন্নতা: ক্রিম মেখে ধুলোভরা বা অপরিচ্ছন্ন বালিশ-বিছানায় শুলেও এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই বিছানা পরিষ্কার থাকা দরকার।
তোয়ালে দিয়ে ব্ল্যাকহেড্স তৈরির কাজটি মাসে চার বার করা যেতে পারে। তার বেশি নয়।