যত বারই মাস্কারা থেকে ব্রাশ বার করা হয়, তত বারই অল্প অল্প করে মেয়াদ কমতে থাকে। জলে ফিল্ম-ফর্মার এবং মোম মিশিয়ে মাস্কারা তৈরি হয়। প্রতি বার ব্রাশ পাম্প করার সময় বা ব্রাশে মোচড় দিলেই খানিক বাতাস ঢুকে গিয়ে জলের কিছু অংশ বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এর ফলে ফর্মুলা ঘন হয়ে যায়, ব্রাশ আটকে যায় এবং চোখের পাতা শুকিয়ে যায়। তা সে যত ভাল মানের মাস্কারাই ব্যবহার করুন না কেন।
স্যালাইন দিয়ে মাস্কারার শুষ্কতা দূর করুন। ছবি: সংগৃহীত।
এমন সময়ে নিশ্চয়ই সে মাস্কারা বাতিল হয়ে যায়? নিশ্চয়ই নতুনের প্রয়োজন পড়ে? অথবা কলের জল বা তেল দিয়ে শুষ্কতা দূর করে পুরনোটির প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করেন? কিন্তু জল দিয়ে মাস্কারা তরল করতে গেলে সে জলের জীবাণু এবং খনিজ পদার্থ প্রবেশ করতে পারে মাস্কারায়। তেল বা অন্য যে কোনও তরল পদার্থ মেশালে চোখে জ্বালা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই নতুন এক পন্থায় নিজের প্রসাধনীর শুশ্রূষা করতে পারেন। তা হল, স্যালাইন ওয়াটার। বিশুদ্ধ জল এবং এক চিমটে সোডিয়াম ক্লোরাইডের মিশ্রণে চোখে অস্বস্তি হয় না। এতে জীবাণুও থাকে না। এক ফোঁটাতেই জীবন্ত হয়ে ওঠে শুকিয়ে যাওয়া মাস্কারা। স্যালাইন মেশালেই মোম এবং পলিমারগুলি আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কী ভাবে প্রাণ ফেরাবেন মাস্কারার?
পরিষ্কার হাতে শুরু করতে হবে। অল্প করে মাস্কারার ঢাকনার প্যাঁচ খুলুন। ড্রপার দিয়ে এক ফোঁটা স্যালাইন ভিতরে ঢেলে দিন। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকনা বন্ধ করে দিন। স্যালাইন যেন টিউবের ভিতরে পড়ে, ব্রাশে নয়। ঢাকনা বন্ধ করে টিউবটি নিজের দু’হাতের তালুতে রেখে কয়েক বার ঘষে নিন। ২০-৩০ সেকেন্ড পরে মাস্কারা খুলে দেখুন ঘন তরলে পরিণত হয়েছে কি না। না হলে এই পদ্ধতি আর মাত্র একটি বার প্রয়োগ করতে পারেন। তার বেশি নয়। বেশি স্যালাইন দিয়ে দিলে মাস্কারা পাতলা তরলে পরিণত হয়ে যাবে। তখন আর সেটি ব্যবহারের যোগ্য থাকবে না।