শাল জড়ানোর কায়দা। ছবি: সংগৃহীত।
শহরে শীতের আমেজ। বিয়ের মরসুমও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুচ্ছের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। ছোটবেলার বন্ধু, সহকর্মী, দাদার বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বিয়ের সাজপোশাক এক রকম হবে না। কিন্তু কায়দা যে করবেন, তা দেখাবেন কী করে? সবই শীতপোশাকে ঢাকা পড়ে যাবে। ঠান্ডার সময়ে ঘুরে-বেড়িয়ে-খেয়ে আনন্দ হলেও, সাজগোজ করে তা হয় না। গরমের জিনিস গায়ে না চাপিয়ে শাড়ি বা পশ্চিমী পোশাকের বাহার দেখাবেন, তা-ও হবে না। ঠান্ডায় গায়ে কাঁটা দেবে। শাড়ির সঙ্গে শাল, পশ্চিমী পোশাকের সঙ্গে জ্যাকেট, সোয়েটার কিংবা কার্ডিগান পরাই দস্তুর। তবে এখন ছকভাঙার যুগ। তাই এখন শুধু শাড়ির সঙ্গে শাল নয়, যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই তা জড়িয়ে ফেলতে পারেন। শুধু জানতে হবে কয়েকটি কায়দা।
১) শাড়ির সঙ্গে শাল
কাঞ্জিভরম হোক বা অরগ্যানজ়া— শাড়ি মানেই সঙ্গে থাকবে শাল। কিন্তু তা জড়াতে হবে এমন ভাবে, যাতে দাম দিয়ে কেনা সুন্দর শাড়িটিও দেখা যায়। প্রথমে শালটিকে ত্রিভুজের মতো করে ভাঁজ করে নিন। এ বার কাঁধের উপর থেকে ঘুরিয়ে নিন। দুই কাঁধের দু’পাশে যেন শালের দুই প্রান্ত এসে পড়ে। এ বার ডান দিকের একপ্রান্ত ভাঁজ করে ঘুরিয়ে বাঁ দিকের কাঁধে রাখুন। বা উল্টোটাও করতে পারেন। শাড়ির বাহারও দেখানো হবে, আর আপনাকেও সুন্দর দেখাবে।
২) পশ্চিমী পোশাকের সঙ্গে শাল
পুজোয় পরবেন বলে লিনেনের যে ‘ওয়ান পিস’ ড্রেসটি কিনেছিলেন, তা পরা হয়নি। অফিস থেকে শাড়ি পরে বিয়েবাড়ি যাওয়া বেশ ঝক্কির। তাই বন্ধুর বিয়েতে সেই ড্রেসটি কিন্তু পরতেই পারেন। তবে শীতের সময়ে সেই পোশাকের উপর সোয়েটার না পরে শাল জড়িয়ে নিতে পারেন। একরঙা পোশাকের একঘেয়েমি ভেঙে ফ্যাশন স্টেটমেন্টে যোগ করতে পারেন বেল্ট। প্রথমে শাল ভাঁজ করে দুই কাঁধ থেকে ঝুলিয়ে নিন। দুই প্রান্ত সমান রেখে কোমরের ধাতব বেল্টের সঙ্গে তা আটকে নিন।
৩) সালোয়ার কামিজ়ের সঙ্গে শাল
একটা সময় আনারকলি সালোয়ার কামিজ় ফ্যাশনে ইন ছিল। বিশাল ঘের দেওয়া সালোয়ার অবশ্য এখনও আছে। সাধারণত শালের সঙ্গে ওড়না নেওয়াই দস্তুর। তবে শীত রুখতে জরি, চুমকির কাজ করা সালোয়ারের উপর সোয়েটার তো যাবে না! তা হলে উপায়? ওড়নার বদলে এক কাঁধে ফেলে রাখুন শাল। ঠান্ডাও কাটবে, আবার কায়দাও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy