চুল সোজা ও মসৃণ হলে খুব সহজেই কেশসজ্জা করা যায়, চট করে জট পড়ে না, খোলা চুলের বাহার দেখেও লোকজন মুগ্ধ হয়। তবে কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে বিষয়টা খানিক উল্টো। একে তো সহজে রকমারি কেশসজ্জা করা যায় না, তার উপর জট ছাড়াতে গিয়ে দম বেরোনোর জোগাড় হয়। শীতের সময়ে এই সমস্যা আরও বাড়ে। বাইরের রুক্ষ আবহাওয়ায় চুল আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। জেল্লা হারায়। তাই এই সময়ে চুলের যত্নে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
চুলের যত্ন নেবেন কী উপায়ে?
স্নান সেরে এসে ভিজে চুল ঘষে ঘষে মোছা যাবে না। কারণ, জলে ভেজার পর চুলের ফলিক্লগুলি খুব নরম হয়ে যায়। তাই খুব জোরে মুছলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে। স্নান সেরে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চুল মুছে নিন। না হলে ভিজে চুলে কিছু ক্ষণ তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। জল টেনে নিলে খোলা হাওয়ায় চুল শুকোতে দিন।
আরও পড়ুন:
ঘন ঘন শ্যাম্পু করবেন না। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করা ভাল। প্রতি বার শ্যাম্পু করার পর ময়েশ্চারাইজ়ার যুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কোঁকড়ানো চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখা খুব জরুরি, না হলেই চুল রুক্ষ হয়ে উঠবে।
যদি দেখেন, শ্যাম্পু করলেই চুল বেশি রুক্ষ হয়ে উঠছে, তা হলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। দোকান থেকে কেনা নয়, বাড়িতেই বানিয়ে নিন। কী কী লাগবে? ২ চা চামচ অলিভ তেল, ১টি ডিম, ২ চা চামচ ভিনিগার মিশিয়ে তা চুলে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে দু’দিন এই প্যাক লাগালে চুল নরম ও জেল্লাদার থাকবে।
মা, ঠাকুjমারা বলেন, তেল লাগালে চুল ভাল থাকে। মাথার ত্বকে তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয়। ফলে চুল ঝরা কমার পাশাপাশি, প্রাপ্তি হয় স্বাস্থ্যোজ্জ্বল কেশ। রুক্ষ, শুষ্ক চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে তেল মালিশেই। কিন্তু তেল মালিশ করতে হবে নিয়ম মেনে। আঙুলের ডগা দিয়ে চক্রাকারে মালিশ চুলের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে মাথার ত্বকে ভাল ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয়। তবে একসঙ্গেই খেয়াল রাখতে হবে, মালিশের সময় যেন বেশি চাপ দেওয়া না হয়। চুল যখন শুকনো থাকবে তখন নারকেল তেল একটু গরম করে মালিশ করলে চুল নরম হবে, জট পড়ার সমস্যা দূর হবে।